ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুরের দৌলতপুর সোলেমান খাঁন বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় স্কুল না দুর্নীতির আখড়া তা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে উক্ত এলাকায়। 

স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন দুজনের যোগসাজশে দুর্নীতি হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকার এমনই অভিযোগ বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির। বর্তমান কমিটি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ দায়িত্ব পান। ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখে জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেলকে প্রধান অতিথি করে মিটিংয়ের আয়োজন করেন। মিটিংয়ে সভাপতি আব্দুস শহীদ বাবু ও সদস্যরা পুরাতন আয়-ব্যয়ের হিসাব ঘাটতে গেলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। স্কুলের যত আয় ঠিক ততটাই ব্যয়।

তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছরই স্কুলের মালিকানার ৫৩টি দোকানের ভাড়া বাবদ পাঁচ বছরে ৫৯ লক্ষ ৬২হাজার ৫০০টাকা, প্রতিবছর হাট ভাড়া বাবদ ১লক্ষ টাকা করে পাঁচ বছরে ৫ লক্ষ টাকার কোন হিসেব নেই। এছাড়া স্কুলের দাতা সদস্য হিসেবে ৭জন সদস্যের জমাকৃত ২০ হাজার টাকা করে ১ লক্ষ ৪০হাজার কোন হিসেব পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয় স্টাম্প জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মস্যাৎ ভুয়া সার্টিফিকেটের বিনিময়ে নিয়োগ বাণিজ্য সহ অসংখ্য অভিযোগে অভিযুক্ত করেন বর্তমান কমিটি। প্রধান শিক্ষক অসুস্থ থাকার দরুন স্কুল কমিটির সভাপতি সহকারী প্রধান শিক্ষক কে দিয়ে এসব দুর্নীতি করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

এছাড়া সভাপতি ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের উদাসীনতার দরুন স্কুলে শিক্ষকরা যায় আর আসেন। সরকারি ছুটি বাদে বছরে কমপক্ষে শনি এবং মঙ্গলবার সহ প্রায় ১২০দিন ক্লাস হয় না। ক্লাসের দিনেও শিক্ষকরা ক্লাস না নিয়ে ভাত খেতে যাওয়া সহ বিভিন্ন কাজে বাইরে যান। এতে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যায়-আসে। স্কুলের শিক্ষার মান দিন দিন খারাপের পথে বলে জানান তাঁরা।

এস, এস, সি পরীক্ষার পাশের হার ও অনেক কম। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ঐতিহ্যবাহী স্কুল বাদ দিয়ে তাদের সন্তানদের এখন কিন্ডারগার্টেন স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন।

স্কুল কমিটির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে কোনোভাবে পাওয়া যায়নি, তবে সহকারি প্রধান শিক্ষক আক্তার হোসেন বলেন স্কুলের আয়-ব্যায় রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাঁচ সদস্যর একটি কমিটি আছে।তারা সঠিকভাবে ব্যয় করে বিল, ভাউচার জমা দিয়েছেন।

স্কুল কমিটির বর্তমান সভাপতি আব্দুস শহীদ বাবু, সদস্য আখতার হোসেন সহ সবাই জেলা প্রশাসক, শিক্ষা অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

(এআইআর/এসপি/জানুয়ারি ০৫, ২০১৮)