লাইফস্টাইল ডেস্ক : মস্তিষ্কের সক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে যারা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন, তাদের ব্যবস্থাপত্রে যদি নিয়মিত ব্যায়ামের বিষয়টি যোগ করা হয়; সেক্ষেত্রে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এরই মধ্যে অনেক গবেষণা ও পর্যবেক্ষণে স্মরণশক্তি ও চিন্তার গভীরতা বৃদ্ধিতে ব্যায়ামের কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে। সেসব গবেষণা ও পর্যবেক্ষণ আমলে নিয়ে মার্কিন নিউরোলজিস্টরা সম্প্রতি চিকিৎসকদের জন্য এক গাইডলাইন প্রকাশ করেছেন।

চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রকাশিত এ গাইডলাইনে বলা হয়েছে, মস্তিষ্কের সক্ষমতা হ্রাসজনিত সামান্য জটিলতার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপত্রে চিকিৎসাধীনদের ওষুধের বদলে সপ্তাহে অন্তত দুদিন ব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়া উচিত। যারা বর্তমানে এ ধরনের জটিলতায় ভুগছেন, এ উদাহরণ কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারেন তারা সবাই। সপ্তাহে অন্তত দুদিন ব্যায়াম করার মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি ও চিন্তার গভীরতা— দুটোই বাড়ানোর প্রয়াস নিতে পারেন তারা। খবর সায়েন্স ডেইলি।

আমেরিকান একাডেমি অব নিউরোলজির মেডিকেল জার্নাল ‘নিউরোলজির’ অনলাইন ইস্যুতে চিকিৎসকদের জন্য এ গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শুধু মার্কিন চিকিত্সক নয়, সারা পৃথিবীর চিকিত্সকরাই এ গাইডলাইন কাজে লাগাতে পারেন।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের রচেস্টারভিত্তিক চিকিৎসা গবেষণা কেন্দ্র মায়ো ক্লিনিকের অ্যালঝেইমার্স ডিজিজ রিসার্চ সেন্টার ও মায়ো ক্লিনিক স্টাডি অব এজিংয়ের পরিচালক ডা. রোনাল্ড পিটারসেন বলেন, ‘নিয়মিত ব্যায়ামের কারণে হূদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে, এটা আমরা সবাই জানি। এখন নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে মস্তিষ্কের সক্ষমতাও যে বাড়ে, এটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি। সে হিসেবে আবার এটাও বলা যায়, যা কিছু আপনার হূদযন্ত্রের জন্য ভালো, তার সবটাই আপনার মস্তিষ্কের জন্যও ভালো।’

ডা. রোনাল্ড পিটারসেনের নেতৃত্বেই গাইডলাইনটি প্রস্তুত করা হয়। এ-সংক্রান্ত আগের যাবতীয় সব গবেষণায় উঠে আসা ফলাফল যাচাই-বাছাইয়ের ভিত্তিতে এটি প্রস্তুত করেছেন ডা. পিটারসেন ও তার সহযোগীরা। এর মধ্যে নিয়মিত দ্রুত হাঁটা, জগিং বা সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটাসহ যেসব ব্যায়াম শ্বাসযন্ত্রের জন্য উপকারী, সেগুলোর ওপরই বেশি জোর দিচ্ছেন ডা. পিটারসেন।

তিনি বলেন, এ ধরনের ব্যায়ামের মাধ্যমে বয়স্ক ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের সক্ষমতা হ্রাস ও স্মৃতিভ্রংশের মতো জটিল পরিস্থিতিকেও লাঘব করা সম্ভব।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৫, ২০১৮)