প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পিএসসি (প্রাথমিক পর্যায়ের সমাপনী) পরিক্ষার ফলাফল বিপর্যয় হওয়ায় ১০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার।

জানা গেছে, গত বছরের নভেম্বরে পিএসসি সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সম্প্রতি ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর উপজেলার ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফলাফলে বিপর্যয় ঘটে। ফলে ওই এলাকার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ হতাশ হয়ে পড়ে।

এবার পিএসসি পরীক্ষায় বাঘ আছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৬জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৭জন, কৈলাশকুটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫জনের মধ্যে ৪জন, কালুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩২জনের মধ্যে ১৬জন, কিশামত ছিনাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৩জনের মধ্যে ২২জন, ছত্রজিৎ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯জনের মধ্যে ৮জন, মেখলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১জনের মধ্যে ১৯জন, নাফাডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩জনের মধ্যে ১০জন, পোদ্দারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬জনের মধ্যে ৫জন, হরিশ্বর তালুক শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১১জনের মধ্যে ৪জন ও আবুল কাশেম বালিকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪জনের মধ্যে ৮জন পরীক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়।

এসব প্রতিষ্ঠানে ফলাফল বিপর্যয় ঘটলে উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ প্রশাসনের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ফলে হতাশ হয়ে পড়েন অভিভাবকরা। গত ৩১ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই সব প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন। সেই সাথে নোটিশের জবাব ৫ কর্মদিবসের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।

বেশ কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানরা নোটিশ হাতে পাওয়ার পর বিভিন্ন মাধ্যমে শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যােেচ্ছন। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষার মান আরো উন্নয়ন করার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করেন। কিন্তু এবছর কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বেশীরভাগ জাতীয়করনকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পিএসপি পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সঠিক পাঠদান হয় না। সদ্য জাতীয়করনকৃত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িয়ে পড়ায় বিদ্যালয়গুলো হেয়ালীপনায় চলে। প্রতিষ্ঠানের উপর তাদের তত গুরুত্ব নেই।

এ ব্যাপারে ৬ডিসেম্বর শনিবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কি কারণে ফলাফলে বিপর্যয় ঘটল তার জবাব চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(পিএমএস/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৮)