প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গত কয়েকদিনের কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ কওে শ্রমজীবি ও দিনমজুর মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে। 

প্রচন্ড ঠান্ডায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারে না। কাঁথা কম্বল গায়ে জড়িয়ে বিছানায় দেহ নিতিয়ে রয়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা রয়েছে অতিকষ্টে। তারা গরম কাপড়ের অভাবে জড়োসড়ো হয়ে রয়েছে। শৈত প্রবাহ এবং হিমেল হাওয়ায় জীবন আরো দূর্বিসহ হয়ে উঠে।

দিনের মধ্যভাগে মাঝে মধ্যে রোদেও ঝিলিক দেখা দিলেও বিকালের দিকে শৈত প্রবাহে চারিদিক ঢেকে যায়। তিস্তা ও ধরলার চরাঞ্চলের ছিন্নমুল অসহায় পরিবারগুলোর অবস্থা আরো ভয়াবহ। প্রচন্ড ঠান্ডা পরায় কমদামী ও গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে মানুষের ভিড় পড়েছে।

কয়েকদিন আগে ওই সব দোকান মালিকরা গালে হাত দিয়ে বসে ছিল। হাঁড় কাপানো ঠান্ডা পরায় তাদেও মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যায়। প্রচন্ড ঠান্ডা পরায় অফিসগুলোতে তেমন লোকজনের ভিড় ছিল না। অনেকে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় অনেকে বাড়ীতে বা রাস্তায়র মোড়ে খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। বেলা বাড়ার সাথে সাথে হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডা প্রকট আকার ধারন করে।

এদিকে শুধু মানুষ নয় গবাদী পশু গরু-ছাগল-ভেড়ার গায়ে উঠেছে পাটের চট ও গরম কাপড়। অপরদিকে বৈরি আবহাওয়ায় আমের মুকুল, আলু, ধানের চারা, মশুর সরিষা, সবজি ক্ষেতের মালিকরা ,দুশ্চিতায় পড়েছেন। এভাবে শৈত প্রবাহ চললে এসব ফসলের মারাত্মক ক্ষতি হবে বলে কৃষিবিদগণ আশংকা করছেন। রাজারহাটে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এ ব্যপারে ৬জানুয়ারী শনিবার রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হাসেম জানান, চাহিদার তুলনায় সরকারীভাবে শীতের কাপড় অপ্রতুল। তাই জিও-এনজিও সহ সকল প্রতিষ্ঠানকে ছিন্নমুল মানুষের পাশে দাঁড়ানো দরকার।

(পিএমএস/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৮)