মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশায় মির্জাগঞ্জের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ঠান্ডা বাতাসের সাথে সাথে বইছে হিমেল হাওয়া। 

এ কারণে শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে গেছে। ঘন কুয়াশার চাদর ভেদ করে উঁকি দিতে পারছেনা সূর্য। অনেক সময় দশটার পরে সূর্য দেখা গেলেও কুয়াশা যেন কাটছেনা। হাড় কাপানো শীতের দাপটে কাহিল হয়ে পড়ছে বৃদ্ধ, নর-নারী ও শিশু-কিশোরা। সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ জড়োসড় হয়ে পড়েছে।

শীতের তীব্রতার সঙ্গে চারিদিকে শীতজনিত রোগ নিউমোনিয়া, সার্দি,কাশি,জ্বর,আমাশায়সহ নানা জটিল রোগ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার সুবিদখালী বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজারে শীত কাপড়ের চাহিদা বেড়ে গেছে।

এদিকে মির্জাগঞ্জের দুই লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। কিন্তু কম্বল বরাদ্ধ হয়েছে মাত্র ৪২০টি। যা জনসংখ্যার তুলানায় অনেক কম। বেশির ভাগ ভোগান্তিতে পড়েছে সিড়র ও আইলা বিধ্বস্ত পায়রা পারের মেন্দিয়াবাদ এবং ভাঙ্গন কবলিত পিপড়াখালী, রামপুর স্কুল সংলগ্ন বাধেঁ আশ্রয় নেয়া মানুষজন।

শীতের কারণে কৃষকরা মাঠে স্বাভাবিক ভাবে কাজ করতে পারছে না। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাচ্ছে না শীতে কাতর মানুষ। লোকজন খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি ভাবে ৪২০টি কম্বল বরাদ্ধ পাওয়া গেছে।

এগুলো উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার নিজে গিয়ে ছিন্নমূল মানুষের হাতে ও আবাসন প্রকল্পে আশ্রয়নেয়া অসহায় মানুষের মধ্যে বরাদ্ধকৃত কম্বলগুলো বিতরন করছেন। তবে মির্জাগঞ্জে আরো কম্বল বরাদ্ধ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তা বরাদ্ধ পেলে বিতরণ করা হবে।

(ইউজি/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৮)