সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : কয়েক বছর ভোগান্তির পর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলো একটি নতুন এ্যাম্বুলেন্স। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া এ্যাম্বুলেন্সের চাবি শুক্রবার হাতে পান কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীনাত সাবাহ। 

স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে এ চাবি পান তিনি। ২০১২ সাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্সটি বিকল হয়ে থাকার পর তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার নির্দেশে এ্যাম্বুলেন্স চালক মনিরুজ্জামান শামীম এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের জন্য ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে একটি গ্যারেজে নিয়ে ফেলে রাখেন।

খোঁজ নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানতে পারেন এ্যাম্বুলেন্স চালক মনিরুজ্জামান শামীম এ্যাম্বুলেন্সটির অনেক মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে নিয়ে অন্যত্র বিক্রি করে দেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সেসময় নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক আনিস মাহমুদ কেন্দুয়ায় সুধীজনের সঙ্গে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক বিনিময় সভায় এ্যাম্বুলেন্সের বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক ভাবে এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধারের জন্য কেন্দুয়া থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।

এরই প্রেক্ষিতে শম্ভুগঞ্জের একটি গ্যারেজ থেকে বিকল হওয়া এ্যাম্বুলেন্সটি উদ্ধার করে পুলিশ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র আরও জানায়, এ্যাম্বুলেন্সের যন্ত্রাংশ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে চালক মনিরুজ্জামান শামীমের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। পরে লক্কর ঝক্কর অবস্থায় জোড়াতালি দিয়ে চলতে থাকলেও ২০১৬ সালের প্রথম দিকে এ্যাম্বুলেন্সটি পুরোপুরি অকেজো ঘোষনা করেন কতৃপক্ষ।

এরপর থেকে মুমুর্ষু ও জটিল রোগীদেরকে ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ হাসপতাল, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে আনা নেয়ার ক্ষেত্রে খুবই ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। শুক্রবার নতুন এ্যাম্বুলেন্স পেয়ে খুবই খুশি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও এলাকাবাসী।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জীনাত সাবাহ বলেন, নতুন এ্যম্বুলেন্সটি এ এলাকার জনগণের সম্পদ। রোগীরা এর মাধ্যমে ভাল সেবা পাবেন। এজন্য আমরা খুবই খুশি। এখন থেকে মুমুর্ষু ও জটিল রোগীদেরকে দুরর্বতী হাসপাতালে আনা নেয়ার কাজটি খুবই সহজ হবে।

(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৮)