অমর ডি কস্তা, নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরে তীব্র শীতের কারণে মানুষ ধরে রাখতে পারছে না জীবনযাত্রার স্বাভাবিক গতি। পারিবারিক জীবনে দৈনন্দিন কাজ সহ খাওয়া-দাওয়া, খেলাধূলা ও ঘুমানোর সময় মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না তীব্র শীতের কারণে। 

শিশু ও বয়স্করা সহসাই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। হাট-বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করা হচ্ছে সন্ধ্যার দিকে এবং পরের দিন দোকান খুলছে সকাল ১১টার দিকে। পাড়া-মহল্লায় সন্ধ্যাতেই নেমে আসে গভীর রাতের নিস্তব্ধতা।

সোমবার সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অর্ধেকেরও নাই। বিশেষ করে প্রাইমারী স্কুলগুলোর কোন কোন ক্লাশে কোন শিক্ষার্থীই আসেনি।

অপরদিকে ব্যাংক, এনজিও ও সরকারী অফিসগুলো সকাল ৯টায় কার্যক্রম শুরুর কথা হলেও সেটা কার্যতঃ সম্ভব হচ্ছে না। উপজেলার বিভিন্ন সড়ক বিশেষ করে গ্রামীণ সড়কগুলোতে সকাল ১১টার আগে ও সন্ধ্যা ৬টার পর যানবাহন তুলনামূলক ভাবে অনেক কম দেখা যাচ্ছে।

বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও বনপাড়া পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিস্ট চিকিৎসক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী জানান, তীব্র শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশী শীতজনিত রোগে ভুগছে। এসময় তাদেরকে অধিক যত্নে রাখতে হবে।

(এডিকে/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০১৮)