নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় হালিমা আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূকে তার স্বামী সুজন মিয়া (২১) জবাই করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ছোট অর্জুনদি লিচু বাগান থেকে হালিমার জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার শ্বাশুড়ি ও ননদকে আটক করা হয়েছে। সুজন পলাতক রয়েছে।

সুজন উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস এলাকার সামছুল হকের ছেলে। আর হালিমা আকতার উপজেলার বারদী ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে।

পরিবারের বরাত দিয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, ২০১০ সালে প্রেমের সূত্র ধরে হালিমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে সুজন। এ ঘটনায় দায়ের করা অপহরণ মামলায় সুজন ও তার চাচা তাইয়েন মেম্বারকেও আসামি করা হয়। ওই সময়ে সুজনের সঙ্গে হালিমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। অপহরণ মামলায় সুজন ৫ মাস কারাভোগ শেষে আবারো হালিমাকে দ্বিতীয় দফায় বিয়ে করেন।

এ বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত হালিমাকে মারধর করতো সুজন। এর এক পর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে যান হালিমা। বৃহস্পতিবার সকালে হালিমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে ডেকে আনে সুজন। বিকেল ৫টার পর থেকেই হালিমার মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকে। পরে শুক্রবার সকালে মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের অর্জুনদি লিচু বাগান থেকে পুলিশ হালিমার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে।

ওসি আরো জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সুজনের মা ও বোনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

(ওএস/এইচআর/জুলাই ০৪, ২০১৪)