পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অশ্লিল-আপত্তিকর বক্তব্য, অশালিন মন্তব্য (কমেন্ড) এবং কটুক্তি করায় দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

সৌদি প্রবাসি পাথরঘাটার মাহমুদ নামক এক যুবক তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নোংরা ও ওদ্যত্বপূর্ন মন্তব্য পোস্ট করেন। যা দ্রুত ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।ওই মাহমুদ সহ আরও যারা ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে মুক্তিযোদ্ধারা দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরে পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে পাথরঘাটার মুক্তিযোদ্ধারা তাদের এই দাবির কথা সাংবাদিক সন্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

এ সময় পাথরঘাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার ও বরগুনা জেলা পরিষদের সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা এম.এ. খালেক, সাবেক উপজেলা কমান্ডার শহিদুল ইসলাম তালুকদার, মনি মন্ডল, মান্নান খলিফা,কামাল উদ্দিন, হাবিব মাস্টার,সন্তোাষ শিকদারসহ অর্ধশত মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ওই যুবককে সৌদী আরব থেকে দ্রুত ইন্টারপোলের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী জানানো হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটুক্তি যা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল সে বিষয়ে গুরত্বারোপ করে যথাযথ বিচারের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্কমুক্ত করার দাবী জানানো হয় । আর এখন থেকে এজাতীয় অপরাধকে রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধের মতো বিচারের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবি জানান সকল মুক্তিযোদ্ধারা।

মুক্তিযোদ্ধারা লিখিত অভিযোগে জানান, মাহমুদ নামে ওই যুবক মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে তার ফেসবুকে একটি নিউজ শেয়ারের মন্তব্যে ‘মুক্তিযোদ্ধারা বেজন্মার দল, জুতা দিয়া ওদের ল্যাংটা কইরা ছাইজ করতে হবে, মুক্তিযোদ্ধারা বেশ্যার ঘরে অথবা খানকি পারার সন্তান’ ইত্যাদি বলে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার এম.এ. খালেক বলেন, মাহমুদ সারাদেশের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছে। শুধু মুক্তিযোদ্ধাদেরই সম্মানহানি করেনি, করেছে দেশকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর কথা ছড়িয়ে পড়ায় শুধু দেশেই সম্মান হানি হয়নি, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্নবিদ্ধও করেছে।

এদিকে এঘটনায় যখন উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা সাংবাদিক সন্মেলন সহ আইনের আশ্রয়ে যাওয়ার দৌরঝাপ শুরু করেছেন; ঠিক তখন-ই নিজামউদ্দিন নামক আর এক যুবক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে ধৃষ্টতাপূর্ন স্ট্যাটাস লিখে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের পদাঘাত (লাথি) অংকিত ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন পোষ্টের মাধ্যমে নতুন করে জলন্ত উননে ঘি ঢেলে দিয়েছেন বলে অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে।

মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যথায় বিচারের দাবীতে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারী উচ্চারন করেছেন।

সর্বশেষ আজ সোমবার বিকালে এরিপোর্ট তৈরীকালে ডেপুটি কমান্ডার এম.এ.খালেক উত্তরাধিকার ৭১ নিউজকে জানান, আইনের আশ্রয়ে যাওয়ার জোর প্রচেষ্টার কথা অর্থাৎ মামলার প্রস্তুতি চলছে।

(এটি/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০১৮)