প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলাধীন বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ডাংরারহাট সংলগ্ন তিস্তা নদীসহ প্রায় ১৫টি স্পর্টে অবাধে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। অবাধে বালু উত্তোলনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগ দেখেও না দেখার ভান করে চলার অভিযোগ উঠেছে।  দিন দিন বেড়েই চলছে বালু খেকোদের মহোৎসব।

এ বিষয়টি নিয়ে গত সোমবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় আলোচনা করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার তা আমলে নিয়ে থানা অফিসার ইনচার্জকে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকরি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে দীর্ঘ দু’সপ্তাহ ধরে তিস্তা নদীতে ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করে বিক্রি কওে আসছে। ছিনাই ইউনিয়নের পাঙ্গা রাণী লক্ষ্মীপ্রিয়া স্কুল এন্ড কলেজ সংলগ্ন, রাজারহাট ইউনিয়নের বোতলারপাড় বটতলা এলাকা, কিশামত পুনকর, চাকিরপশার বিল মেজর (অব.) ইউনুস আলীর পুকুর থেকে দীর্ঘ দুই বছর যাবত অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। এদিকে তালতলা, বুড়িরহাট, খিতাবখাঁ, মোস্তফিরহাট, উমর মজিদ, নাজিমখানসহ অত্র উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ভূ-গর্ভস্থ থেকে চলছে বালু খেকোদের বালু উত্তোলনের মহোৎসব।

অতিরিক্ত বালু উত্তেদলনের ফলে ওই এলাকাগুলো ধ্বসে নি¤œঞ্চলে প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। এছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন করার ফলে নদীর তীরবর্তী এলাকা ভেঙ্গে যাওয়ারও আশংকা রয়েছে। যা সম্পূর্নভাবে বে-আইনী হলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ এসব দেখেও না দেখার ভান করে চলছে।

৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এটি সম্পূর্ণ বে-আইনী। এটি বন্ধে তিনি জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। বিষয়টি থানা অফিসার ইনচার্জ মহোদয়কে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

(পিএমএ/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০১৮)