স্টাফ রিপোর্টার : নানা সময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে যেসব টুইট করা হয়, সেগুলো আদৌ তিনি করেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার রাজধানীতে এক আলোচনায় খালেদা জিয়ার টুইট করাকে কটাক্ষ করে হাছান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার টুইট করা দেখে টুইটের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্মকর্তারাও হাসেন’।

২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর নিজের টুইট অ্যাকাউন্ট চালু করেন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে বিভিন্ন জাতীয় দিবস এবং নানা সময় নিজের বক্তব্য ও অবস্থান নিয়ে টুইট করে আসছেন বিএনপি নেত্রী। সবশেষ ৮ জানুয়ারি তিনি নারী নির্যাতন নিয়ে টুইট করেন। লেখেন, নারী নির্যাতনের পরিসংখ্যান দেখে তিনি ‘নির্বাক’ হয়ে গেছেন।

খালেদার নামে আসা টুইট আদৌ তিনি লেখেন কি না, এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে হাছান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার টুইট অ্যাকাউন্ট আছে সেটা ভালো। সেখানে তিনি আবার টুইটও করেন। কিন্তু তিনি নিজে টুইট করেন, নাকি অন্য কেউ করে দেন? খালেদা জিয়ার টুইট করা দেখে মনে হয় টুইটের প্রতিষ্ঠাতা, কর্মকর্তা সব হাসেন।’

আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে বাইরে রাখা যাবে না, গত ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে বিএনপি নেত্রীর এমন বক্তব্যকে স্বাগত জানান হাছান। বলেন, ‘আপনি (খালেদা জিয়া) বলছেন নির্বাচনে আসবেন। আপনাকে স্বাগতম জানাই। আশা করি আপনি কয়েক দিন পরে বলবেন, শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনে যাব। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে আসবেন।’

ভোট নিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা হল পরিণতি ভালো হবে না- এটাও স্মরণ করিয়ে দেন হাছান। বলেন, ‘পানি ঘোলা করবেন না। পানি বেশি ঘোলা করলে মাঠে মারা যাবেন। দেশে আবার যদি পেট্রোল বোমা মারা হয় তাহলে দেশের জনগণ তা প্রতিহত করবে।’

সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনি হামিদ প্রমুখ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এই আলোচনায় সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুল মতিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনি হামিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০১৮)