নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থিত ‘গিয়াস মার্কেটে’র দুটি দোকান ঘর জবর দখল করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাহাজাহান আলী। জোড়পূর্বক ওই দু’টি দোকান ঘর দখল করে (হোটেল ও হার্ডওয়ার দোকান) তা প্রাচীর তুলে দখলের চেষ্টা করছেন। 

মঙ্গলবার এমন অভিযোগে ওই মার্কেটের মালিক মোছাঃ হাজেরা বেগম গং বাদী হয়ে সাপাহার সহকারী জজ আদালতে সাপাহার উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ সাহাজাহান আলী, ইসমাইল হোসেন, ফুহাদ হোসেন, আমজাদ হোসেন ও বাবুল হোসেনকে বিবাদী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৫/২০১৮, তাং ০৯-০১-১৮। আদালত আগামী সাতদিনের মধ্যে আদালতে কারন দর্শানোর জন্য বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আর্জি সূত্রে জানা গেছে, বর্ণিত জমির পূর্ব মালিক ছিলেন, জনৈক মোজাফ্ফর হোসেন শাহ্। তিনি ১৯৭২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ৩৪০৫৬ নং দলিল মূলে মালিক হন। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালের ১৪ অক্টোবর নালিশী সাবেক ১৩১ দাগের ১০৬ শতাংশের মধ্যে ৪ শতাংশ দাগের উত্তর-পশ্চিম অংশে ১৩১৪৩ নং রেজিষ্ট্রি কবলা দলিল মূলে জনৈক শফি উদ্দিন বরাবর হস্তান্তর করেন। অতঃপর শফি উদ্দিন তার ক্রয়সূত্রে প্রাপ্ত উক্ত ৪ শতাংশ জমি ১৯৮১ সালের ১৩ মে ৬৮৩৭ নং বিনিময় রেজিঃ দলিল মূলে বাদীদের মৌরশ পিতা গিয়াস উদ্দিন মন্ডল বরাবর হস্তান্তর করেন। গিয়াস উদ্দিন মন্ডল উক্ত ৪ শতাংশ জমি নিজ নামে জমা-খারিজ করে পৃথক হোল্ডিং খুলে নিজ নামে খাজনাদি প্রদান করে এসেছেন।

গিয়াস উদ্দিন মন্ডল তার জীবদ্দশায় কেনা ওই ৪ শতাংশসহ সংলগ্ন পশ্চিমাংশের ২৯০ ও ২৮৯ দাগে মোট ১৩ শতাংশের ওপর ১৯৮৪ সালে পাকা বিল্ডিং নির্মান করেন। যা গিয়াস মার্কেট নামে পরিচিত। যা দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে গিয়াস উদ্দি ও তার ওয়ারিশরা এটি ভোগদখল করে আসছেন।

রবিবার ওই মার্কেটের দু’টি দোকানঘর জবরদখল করার হুমকি দেয় বিবাদীরা। সোমবার সন্ধ্যায় তারা ওই মার্কেটে হামলা করে হোটেলের খদ্দেরদের বের করে দিয়ে দোকান দুটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার সেখানে প্রাচীর তুলে দখলের চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা সাহাজাহান আলী সাংবাদিকদের জানান, জমিটি তার পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত। তার বিরুদ্ধে অন্যের জমি বা মার্কেটের দোকানঘর দখলের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন। ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

(বিএম/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০১৮)