শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ দিনাজপুর। বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে ছিন্নমুল-হতদরিদ্র মানুষের অবস্থা চরম শোচনীয়। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।

দিনাজপুরে আজ শুক্রবার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিলো ৯৭ শতাংশ। গত এক সপ্তাহের বেশী সময় ধরে কুয়াশার পাশাপাশি শৈত্য প্রবাহ বইছে দিনাজপুরে। নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বেরোচ্ছে না কেউ। প্রচন্ড শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন ।ঘন কুয়াশার কারনে দিনের মধ্যেও দিনাজপুরের বিভিন্ন মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করেছে যানবাহন।

শীতে রেল লাইন ও বস্তি এলাকার ’মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করেছে। সবচেয়ে বেশী প্রভাব পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুদের মধ্যে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে শীত পড়ার সব রেকর্ড ভেঙে গেছে এবার। ভূগৌলিক কারণে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সীমান্ত জেলা দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলায় এবার প্রকোপ আকার ধারণ করেছে শীত। তীব্র শীতে নাকাল জনজীবন। জবুথবু অবস্থা।

দিনাজপুর জেলার শীতার্ত মানুষকে তীব্র শীতের প্রকাপ থেকে রক্ষায় জেলা প্রশাসন প্রায় ৭৭ হাজার পিস শীতবস্ত্র কম্বল এবং ৩ হাজার শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছে।

দিনাজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম।

প্রেসব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ত্রানভান্ডার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর হতে প্রাপ্ত ও গত অর্থ বছরের জেরসহ ৭৯ হাজার ৪’শ ৭০ পিস শীতবস্ত্র কম্বল পাওয়া গেছে।

ইতোমধ্যে এ পর্যন্ত জেলার ১৩ উপজেলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ৭৬ হাজার ৮’শ ২০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বিতরণ করা হয়েছে ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার। বর্তমানে জেলায় ২’ হাজার ৬৫০ পিস কম্বল এবং ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

(এসএএস/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৮)