দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই (ঢাকা) : পৌষের কনকনে শীত,হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা ধামরাই সহ তার আশ-পাশের জনপদ। গত কয়েক দিনের কন কনে শীতে জন জীবনকে থমকে দিয়েছে। গত কয়েক দিন দরে দিনে সুর্যের দেখা মেলেনি। 

আজ দুপুরে কিছু সময়ের জন্য সুর্য্য উঁকি মেরেছিল। তাপমাত্রা গত সপ্তাহ ধরে যা ছিল আজ কিছুটা কম হলেও ঘন কুয়াশা ভবন,বৃক্ষলতা অদৃশ্য করে রেখেছে। দুপুর গড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই শুরু হচ্ছে ঘন সাদা কুয়াশা পতন। পথে ঘাটে যত্রতত্র আগুন জ্বালিয়ে সাধারন মানুষ শীত নিবারনে চেষ্টা করছেন। চায়ের দোকনে ভীড় গরম চা পান করে উঞ্চতা লাভের চেষ্টা করছে মানুষ। কুয়াশা ও ঠান্ডা উপেক্ষা করে পরীক্ষার্থী ও শিক্ষার্থীরা ছুটছে স্কুল কলেজে। এবারের ঠান্ডা স্মরন কালের মধ্যে মনে রাখার মতো।

ঠান্ডার কারনে ধুনকরদের ব্যস্ত সময় পার করছেন,কাজও বেড়েছে। ঠান্ডায় জড়ো সরো হয়ে ঘর কোনো বসে থাকছে শিশুরা।

ধামরাই আবুল বাশার কৃষি কলেজের ৫ম সেমিষ্টারের ছাত্রী রেখা রানী সরকার।তিনি বলেন প্রকৃতির সাথে কেউ কি পারে? কুয়াশার কারনে যানবাহনে যেতে ও চলাচলে ভয়তো হয়ই। তার ৫ম সেমিষ্টারের বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষা আজ। শিক্ষার্জনের জন্য এই বাধা অতিক্রম করতেই হবে। তাই ঠান্ডা ও কুয়াশায় কি হবে বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের চেয়ে অনেক মানুষ শীত কষ্টে আছে তাদের প্রতি উচ্চ বিত্তদের ও সরকারী সাহায্য প্রয়োজন মনে করেন রেখা। ফুটপাতে ফুরান কাপড়ের বেচা বিক্রি বেশী হচ্ছে।

ট্রাক বডি নির্মান কারী মিস্ত্রিরি অমৃত সরকার বলেন, কুয়াশা বা ঠান্ডার কথা ভেবে জীবন চলেনা। পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন যাপন করতে অর্থের প্রযোজন। ঠান্ডা বা কুয়াশার বাধা উপেক্ষা করেই আমাদের কাজ করেই যেতে হবে।

এর পরও কাজ থেমে নেই ঘরের বাইরে বেড়িয়ে পড়েছে মানুষ রোজ গারের জন্য। সড়ক মহা সড়কের সকল যানবাহন হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীর গতিতে চলাচল করছে, দুর্ঘটনা এড়াতে বাজাচ্ছে হর্ণ ।

ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী বানরকুল সহ পশু-পাখিদের জীবনও থমকে গেছে কনকনে শীতে। কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করছে।

মাঠে কৃষকদের কাজ কমে যাবার কারনে সাধারন শ্রমিকদের কর্ম চাঞ্চল্যতা কমে আয় রোজগারও কমেগেছে।

শীতের কারণে ছিন্নমূল মানুষের শীত নিবারনে ছেড়া কাপর ও শীতবস্ত্রের উপর এক মাত্র ভরসা। কোন সাহায্য সহযোগিতা নেই সরকারী বা বেসরকারী তরফ থেকে।

(ডিসিপি/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৮)