সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান উপজেলায়  শেখরনগর রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এ উপলক্ষে স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ছাত্র ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে দুইদিনব্যাপী এক মিলন মেলার আয়োজন করা হয়েছে। 

সিরাজদিখান রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির উদ্যোগে ‘গৌরবোজ্জ্বল শতবর্ষ পূর্তি ও মিলন মেলা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান হবে।

শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর এস এম মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্বিস কমিশন সচিব আক্তারি মমতাজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর যুগ্ম সচিব মোঃ তাহিয়াত হোসেন,মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা,সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদ চেযারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ.সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানবরি মোহাম্মদ আজিম, সিরাজদিখান উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক এস এম সোহরাব হোসেন,শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ, শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিরধা, শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব শরীফ মোঃ রওশনুজ্জামান শামীম,রায়বাহাদুর পরিবার প্রতিনিধি সুশীল রায়,ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আরফান আলী,সিরাজদিখান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, সিরাজদিখান উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হেলেনা ইয়াসমিন, রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ তালুকদার,শেখরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক রবিউল আউয়াল প্রমুখ।

১২ ও ১৩ জানুয়ারি সারাদিন চলবে বিভিন্ন আনুষ্ঠান পর্ব। সন্ধ্যায় জাঁকজমকপূর্ণ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। এতে সিরাজদিখানের প্রতিষ্ঠিত শিল্পীসহ দেশবরেণ্য শিল্পীরা অংশ গ্রহণ করবেন।

রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশনের শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব শরীফ মোঃ রওশনুজ্জামান শাশীম জানান, রায় বাহাদুর শ্রীনাথ ইনস্টিটিউশন দেশের প্রাচীনতম স্কুলের মধ্যে একটি। এ স্কুল থেকে দেশের প্রথিতযশা ব্যক্তিরা পড়াশোনা করে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখেছে। স্কুলটি দেশসেরা স্কুলগুলোর অন্যতম। দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অবিস্মরণীয়। এ স্কুলে পড়াশোনা করে আমরা গর্বিত।

গর্বিত স্কুলটির শতবর্ষ পূর্তি পালন করতে পারছি। শতবর্ষ উদযাপন কমিটির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব শেখ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন, এ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে গর্বিত মনে করছি। এ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করাও গর্বের বিষয়। রাষ্ট্র, সমাজ ও প্রশাসনের এ স্কুল থেকে পাস করা ছাত্ররা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। দেশ ও জাতি গঠনে অংশ গ্রহণ করতে পারছে। আমি মনে করি, এ স্কুল শত শত বছর ধরেই টিকে থাকবে এবং দেশ মাতৃকার সেবায় প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

শতবর্ষ উদযাপন উপকমিটির অন্যতম সদস্য ইসতিয়াক হোসেন খান চঞ্চল ও শিক্ষক রবিউল আউয়াল বলেন, এ স্কুলের ছাত্র হতে পেরে আমরা গর্ববোধ করি। আমাদের প্রানের এ স্কুল থেকে অনেক গুণী মানুষ আজ রাষ্ট্র ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। স্কুলের শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠানে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে পেরে নিজেদেরকে ধন্য মনে করছি। আমরা চেষ্টা করছি, স্কুলের এই গৌরবজ্জ্বোল ভূমিকা এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরে অনু প্রানিত করতে।

(এলআরএম/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৮)