নওগাঁ প্রতিনিধি : গত কয়েক দিনের টানা শৈত প্রবাহে নওগাঁ জেলাজুড়ে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। দুপুর ১২ টার দিকেও দেখা মিলছে না সূর্যের। তীব্র শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেনা কেউ। 

নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার নওগাঁয় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা বলে সূত্র জানিয়েছে। আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, চলতি শৈত প্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

দুপুর নাগাদ কিছুটা হালকা রোদের দেখা মিললেও তা একেবারেই নিরুত্তাপ। বিকেল থেকে পরের দিন দুপুর পর্যন্ত উত্তরের হিমেল হাওয়ায় এবং ঘণ কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে খেটে খাওয়া শ্রমজীবি, কর্মজীবী সাধারণ মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই সকাল অথবা সন্ধ্যায় খর-কুটায় আগুন জেলে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।

শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে লোকজন ভিড় করছে ফুটপাতের গরম কাপড়ের দোকানে। শুক্রবার নওগাঁ শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ থাকায় ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে। অগত্যা তারা ভিড় করছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। শহরের চুরিপট্টিতে কয়েকটি ফুটপাতের দোকানে পুরনো কাপড় কিনতে এদিন ভিড় চোখে পড়ে। ক্রেতারা সুয়েটার, জ্যাকেট, মোজা, হাতমোজা এবং মাফলার কিনতে ঝুঁকে পড়ে ওইসব ফুটপাতের দোকানে।

নওগাঁ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শীতজণিত সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ার রোগে জেলা সদরসহ ১১টি উপজেলা হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্র জানায়, তীব্র শীত ও কুয়াশার শস্য ক্ষেতে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় বোরো ধানের বীজতলায় ধানবীজ থেকে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে না।

(বিএম/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৮)