অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : থামছেই না সুন্দরবনের হরিণ নিধন। প্রশাসন আছে। আইন আছে। বন আর বনের সম্পদ রক্ষায় বছরে কোটি-কোটি টাকা সরকারের গচ্ছাও যাচ্ছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে কি? এই প্রশ্ন এখানকার সচেতন মহল বিশেষের। কারা এমন সাহস পায় র‌্যাব, কোষ্টগার্ট, ফরেষ্ট, পুলিশসহ দেশের আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সজাগ দৃষ্টি উপেক্ষা করে সুন্দরবনের মায়াবী হরিণের গলায় ছুড়ি চালাতে? তবে কি হরিণ পাচারকারীরা কোনোকালেই দমন হবেনা।

মানুনেষর নানমুখি প্রশ্ন সরকারে থাকা আইনের রক্ষাকারী ওই সকল কর্তাদের উদ্দেশ্যে। পাথরঘাটায় কারা কোথায় কি কাজ করছে। কে কোথায় কোন রুট ব্যবহার করছে হরিণ পাচারের জন্য। তা অবশ্যই জানতে হবে প্রশাসনকে। বার বার ধরা পরা জবাইকৃত হরিণের মাংস প্রশাসনের হাতে ধ্বংস হতে দেখা যায়। কিন্তু পাচারকারীদের লাগাম টেনে ধরা যেনো কোনোক্রমেই সম্ভব-ই হচ্ছেনা। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই নিঃশ্চিহ্ন হবে সুন্দরবনের মায়াহরিণ। আর এর জন্য দায়ী থাকব আমরা এবং আমাদের এই প্রজন্ম।

১০ জানুয়ারী বুধবার বিকালে পাথরঘাটায় আবার দের মন হরিনের মাংস জব্দ করে থানাপুলিশ। মাংসগুলো সুন্দরবন থেকে চোরাশিকারীরা পাচারের উদ্দেশ্যে দক্ষিন চরদুয়ানী গোড়াখালে নামবিহিন একটি ট্রলারযোগে সুন্দরবন থেকে এনে পাচারের জন্য মজুদ করে থাকতে পারে বলে পুলিশের ধারনা। এ ঘটনার সাথে জড়িত কেউ-ই আটক হয়নি।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) মোল্লা মোঃ খবির আহম্মেদ উত্তারাধিকার ৭১ নিউজকে বলেন, ১টি ট্রলারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই মাংস গুলো জব্দ করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।

অবশ্য একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবী মাংস ছিল প্রায় ৭মন। পুলিশ পৌছুনোর আগেই জবাইকৃত মাংস দ্রুত সরিয়ে ফেলা হয় বলে ওই সূত্রটির পক্ষ থেকে দাবীও করা হয়।

এই ঘটনা নতুন কিছু না এখানে। এরকম অগনিত হরিণ জ্যন্ত অথবা জবাইকৃত পাচার হর হামেশাই হচ্ছে। এক-ই রকম একটি জবাইকৃত হরিণের বড় চালান পাথরঘাটার মানিকখালী খালে বেশ ক’মাস আগে আটক হয়। ওই মাংসগুলোও ধ্বংস করে দেয়া হয়। আর কত এই হরিণ নিধনের মহোৎসব? বন মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছে সচেতন এলাকাবাসী।

(এটি/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৮)