সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার হোড়গাতিতে জোর পূর্বক জমি দখল করে ব্যাক্তি স্বার্থে রাস্তা নির্মানের অভিযোগ উঠেছে এক বিএনপি নেতা নেতার বিরুদ্ধে। একই সাথে অভিযোগকারীদের জমির অন্তত ১০টি বড় গাছ কেটে নিয়ে গেছে বিএনপির নেতার সঙ্গীরা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ ও কোর্টে মামলা দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্থরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থদের।

অভিযোগকারী এনামূল হক জানান, সলঙ্গা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আব্দুল লতিফ ও তার ২ সহোদর সহ এলাকার আরো কয়েক প্রভাবশালী বিএনপি নেতারা নিজেদের বাড়িতে যাবার জন্য তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপরে বেড়ে উঠা ১০টি ইউক্যালিপটাস গাছ গত ৩০ ডিসেম্বর কেটে নিয়ে যায়।

তিনি জানান, এ নিয়ে সলঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দিলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করার জন্য বলেন। কিন্তু আব্দুল লতিফ কোনভাবেই বিষয়টি মিমাংসা করতে রাজি হয়নি। যে কারনে গত ৮ জানুয়ারী আবারো লোকজন নিয়ে তাদের উপর হামলা করে মারধর করে। একই সাথে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মানের কাজ শুরু করতে চায়।

তিনি আরও জানান, স্থানীয়ভাবে কোন সমাধান না মেলায় এনামুল হক ১০জানুয়ারী কোর্টে ২টি মামলা দায়ের করে। এ সময় বিজ্ঞ আদালত বিবাদমান জমির উপরি নির্মিত রাস্তার উপর স্থগিতাদেশ প্রদান করে ও সলঙ্গা থানার কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়। কিন্তু অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আদালতে নির্দেশ অমান্য করে রাস্তা নির্মান চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেয়।

এনামুল হক বলেন, এই গ্রাম থেকে বের হবার জন্য তিনটি রাস্তা বর্তমানে রয়েছে। কিন্তু অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুল লতিয়ের বাড়ি থেকে সহজে বের হবার জন্য জোর পূর্বক এ রাস্তাটি নির্মান করার চেষ্টা করছেন। তাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি নির্মান হলে এই জমিটিতে যে আবাদ হতো তা করা হয়তো সম্ভব হবেনা।

এদিকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে আব্দুল লতিফ বৃহস্পতিবার গভীর রাতে আমাদের জমির মধ্যে মাটি ফেলেছে। শুক্রবার সকালে বাধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষরা হুমকি দেয় মাটি সরালে জানে মেরে ফেলা হবে। তাদের হুমকিতে ভয়ে আমরা আর মাটি সরাতে সাহস পাইনি। বিষয়টি থানায় জানিয়েছি। কিন্তু থানা এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়নি। বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে ট্রেন পোড়ানো মামলা সহ অন্তত ৬টি মামলা থাকলেও পুলিশের সাথে তার অনেক সখ্যতা বলেও জানান অভিযোগকারী এনামুল।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুল লতিফ জানান, যে রাস্তাটি নির্মানের কাজ চলছে এখানে পূর্বে পায়ে হাটা রাস্তা ছিলো। মাঝে কিছু সময় রাস্তাটি পরিত্যাক্ত থাকায় এটি আর ব্যবহৃত হয়নি। বর্তমানে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা করে রাস্তাটি পুন:নির্মান করা হচ্ছে। এতে অনেকেরই জমি পড়েছে। তবে তাতে সবাই লাভবান হবে।

এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান জানান, অভিযোগটি পেয়েছি। খুব শীঘ্রই তদন্ত করে কোর্টে দাখিল করা হবে।

(এমএসএম/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০১৮)