মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি : নেত্রকোনার মদন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বালালী বাঘমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের দ্বন্দ চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে বেস্তে যাচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জমানকে ম্যানেজিং কমিটি গত শনিবার কর্তব্য কাজে অবহেলা, উদাসীনতা, বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে  অনুপস্থিত এবং আর্থিক অনিয়ম শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশৃঙ্খলায় লিপ্ত উল্লেখ করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাহার উদ্দিন বাবুল ৭ কার্যদিবসে  জবাব দেয়ার জন্য  একটি কারণ দর্শানো নোটিশ প্রেরণ করেছেন।   

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১২ আগষ্ট ২০১৭ ইং তারিখে বিদ্যালয়ের শিক্ষক/কর্মচারীগণ ২০১৩ থেকে ২০১৭ ইং তারিখ পর্যন্ত কেন সকল আয়ের উৎসের হিসাব দেননি প্রধান শিক্ষক এ বিষয় ইল্লেখ করে সভাপতির বরাবর অভ্যন্তরীন অডিট দাবী করেন। বিগত সভাপতি নাজমূল হকের সময় অডিট কমিটি গঠন করে অভ্যন্তরীন অডিটের দিন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিছুদিন পর অজ্ঞাত কারনে তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। বিদায়ী সভাপতির আমলে অডিট দাবী করা হলে প্রধান শিক্ষক কৌশলে এড়িয়ে যান বলে সভাপতির বরাবর অভিযোগে উল্লেখ করেন শিক্ষক কর্মচারীগণ।

উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করলে অনেক অর্থের গরমিল পরিলক্ষিত হলে সকল অন্যায় মাথা পেতে গ্রহণ এবং নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন প্রধান শিক্ষক। ভবিষ্যতে কোন প্রকার অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত হলে বা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার প্রমানিত হলে কর্তৃপক্ষের যে কোন সিন্ধান্ত মাথা পেতে নিবেন বলে তিনি সকল শিক্ষক কর্মচারীদের কাছে স্বীকার করেন। বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করে শিক্ষক ও কর্মচারীগণ গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে বিষয়টি সুদৃষ্টিতে দেখার জন্য সভাপতি বরাবর আবার আবেদন করেন অভিযোগকারীগণ।

গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে বার্ষিক পরীক্ষার দশম শ্রেণীর ফলাফল প্রকাশিত হলে ফলাফলে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে প্রধান শিক্ষক ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের অভিভাবকগণ ৩ জানুয়ারী ২০১৮ ইং তারিখে সভাপতির বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। েেমাট নম্বর না দেখে মেধা তালিকা প্রস্তুত,আবার যাদের মোট নম্বর দেখানো হয়েছে তাদের মোট নম্বর হিসাবের ভুল অভিযোগে উল্লেখ করেন অভিভাবকরা। ১৪দিন অতিবাহিত হলেও কোন পদক্ষেপ নেননি প্রধান শিক্ষক। এতে অভিযোগকারী অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক বলেন,শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির প্রায়ই এভাবে দ্বন্দ থাকলে শিশুরা প্রকৃতি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে। আমরাই শিশুদের নিয়ে যাব কোথায় ?

অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান আমার নিকট কোন কারণ দর্শানো নোটিশ পৌঁছেনি, তবে ম্যানেজিং কমিটির সাথে যে দ্বন্দ হয়েছে রবিবার সকালে এলাকারগণ্য মান্যব্যাক্তি বর্গ, ম্যনেজিং কমিটির সকল সদস্য ও শিক্ষকগণের সমন্বয়ে বিষয়টি মিমাংসা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির

সভাপতি বাহার উদ্দিন বাবুল বলেন, উনার অনিয়মের প্রেক্ষিতে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি মিমাংসা হয়নি। সভাপতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

(এএমএ/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০১৮)