শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : তাপমাত্রা বাড়লেও শীত কমছে না উত্তরের জনপদ দিনাজপুরে।শৈত্য প্রবাদে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশায় গত দু’সপ্তাহ ধরে জেঁকে বসেছে শীত। হাড় কাাঁপানো শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। 

অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে এবার স্মরণকালের ভয়াবহ শীত দেখা দিয়েছে দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে। দিনে মেঘলুপ্ত সূর্যের লুকোচুরি আর রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। ঋতু বৈচিত্যের এই খেলা দু’সপ্তাহ ধরেই দেখছে এ অঞ্চলের মানুষ। ভূগৌলিক কারণে হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সীমান্ত জেলা দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের কয়েক জেলায় এবার প্রকোপ আকার ধারণ করেছে শীত। তীব্র শীতে নাকাল জনজীবন। জবুথবু অবস্থা।

দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছেন,আজ সোমবার জেলায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ৯৯ শতাংশ।
হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও টানা শৈত্যপ্রবাহ এ শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে। ছন্দপতন হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শীত বস্ত্রের অভাবে সব থেকে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ । একইসাথে দেখা দিয়েছে শীতজনিত নানা রোগ।

ঘন কুয়াশায় ঢাকা ধাকছে দিনের প্রথম ভাগ। কয়েকদিন ধরে দুপুর গড়ালেও সূর্যের দেখা মিলছে না উত্তরাঞ্চলের কোনো কোনো জেলায়। কোথাও কোথাও কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও বারবার ঢেকে যায় ঘন কুয়াশায়। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কনকনে ঠন্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। এর পরও প্রয়োজনের তাগিদে তাদের বের হতে হচ্ছে।
এদিকে ডায়রিয়া,আমাশয়সহ নানা শীতজনিত রোগে কাহিল হয়ে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধমানুষরা। দেখা দিয়েছে, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানি।

দিনাজপুর জেলা সার্জন ডা. মওলা বক্স চৌধীরী জানিয়েছেন, যে সকল শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ শ্বাসকষ্টজনিত এবং ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের চিকিৎসা চলছে। জেলার ১৩ উপজেলার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও সদর হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। সবকিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

(এসএএস/এসপি/জানুয়ারি ১৫, ২০১৮)