অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : কখন সূর্য উকি দিবে।ঘরছেড়ে তাই রাস্তায় শীতার্ত মানুষেরা। গত ৩ দিন ধরে সূর্যের লুকোচুরি খেলা চলছে এখানে। বিষখালী-বলেশ্বর নদীর বুকে ঘন কুয়াশা। দেখে মনে হয় চুলোর উপরে যেনো গরম ভাতের হাড়ি! গরীব খেটে খাওয়া মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। 

কৃষকের ধান কাটার মৌসুম চলছে। প্রচন্ড শৈত্য প্রবাহে তাদের হাত ঠিক ভাবে কাজ করছেনা বলে জানালেন কালাম আর শংকর নামের ২ কৃষক। পাথরঘাটা পৌরশহরে দোকান ছেড়ে রোদের উত্তাপ পেতে রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা সময় খোয়াচ্ছেন দোকানীরা। লাল চা আর আদা চা চলছে হর্দ্দম!

সকালের গরম পরোটা আর গরম ভাজীর কদর বেড়েছে চরম ভাবে। কেনাবেচা বেড়েছে গার্মেন্টস আর মোটা কাপড়ের দোকান গুলোতে। এছাড়াও পাথরঘাটা রাসেল স্কয়ার সংলগ্ন এলাকার ফুটপাথের অস্থায়ী দোকানগুলোতে শীতবস্ত্র কিনতে ভীড় করছেন শীতার্ত মানষেরা।

ঢাকা-চট্গ্রাম-রাজশাহী-খুলনা সহ দূরপাল্লার বাস এবং ঢাক-বরগুনা,ঢাকা-তুষখালী নৌপথের লঞ্চগুলোর যাত্রীদের ভোগান্তী অবর্ননীয়। কূয়াশার কারনে সাবধানে চলতে গিয়ে সকালের গন্তব্য বিকাল হয়ে যাচ্ছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে জলবায়ুর পরিবর্তন সহ নানা মানবসৃষ্ট দুর্যোগে মানবকূল ক্রমশ-ই বিপদাপন্ন হচ্ছে। শীতের সময় শীত থাকেনা।

গরমের সময় গরমও থাকেনা সঠিক ভাবে। দেশে এখন আর ছয়টি ঝুতুও নেই। আবহাওয়া দপ্তরের খবরের দিকে চেয়ে আছেন পরিশ্রমী মানুষ। কনকনে এই শীত আর ঘন কুয়াশা কাটবে কখন!

(এটি/এসপি/জানুয়ারি ১৫, ২০১৮)