কবীর চৌধুরী তন্ময়


দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় মহাজোট সরকারের চার বছর অতিবাহিত হয়ে গেল। এই চার বছরে মহাজোট সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ছোট্ট দেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠীকে তাঁর কী কী প্রতিশ্রুতির মাঝে কী কী বাস্তবায়ন করেছে আর কী কী বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই আলোচনা সমালোচনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আর এটা স্বাভাবিক। তবে প্রত্যেক ব্যক্তির সাফল্য যেমন আছে আবার তেমনি ব্যর্থতাও কিছুটা থেকে যায়। ব্যর্থতার বিষয়টা ভিন্ন। কারণ, অকারণ; সময়, বাস্তবতা এখানে অনেকগুলো বিষয় অন্তুর্ভুক্ত।

তবে আমি এখানে শেখ হাসিনার সরকারের অদম্য কিছু সাফল্য নিয়ে আলোকপাত করবো। প্রথমত আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর নানা উত্তেজনা আর আশংকার মধ্য দিয়ে যে সরকার গঠিত হয়েছে তাকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে চার বছর পূর্ণ করা। দেশের জনগণ, বিদেশী বন্ধু মহল এবং দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দলের মধ্যে বর্তমান সরকারের গ্রহণযোগ্যতা এবং সকল মহলের প্রসংশা অর্জন ছিল শেখ হাসিনার জন্য রীতিমত চ্যালেঞ্জ! আর তিঁনি তা খুব সহজেই যেন করতে পেরেছেন।
শুধু তাই নয়, ১২ জানুয়ারি তাঁর সরকার প্রধানের দ্বিতীয় মেয়াদের চার বছর পূর্ণ করে একটি অসামান্য রেকর্ডও গড়লেন। এর আগে সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন ৮ বছর ২৫২ দিন। আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচিত রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তাঁর ৯ বছর পূর্ণ করল।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ করা সরকার নিয়ে একটা সময় দেশের রাজনীতিবিদ থেকে আরম্ভ করে সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক বিশ্লেষকসহ সকল মহল মনে মনে চিন্তা-ভাবনা করে রেখেছিল, হয়তো এক বছরের মাথায় মধ্যবর্তী নির্বাচন দিবে বা দিতে বাধ্য হবে। যদিও সে বাধ্য করার জন্য বিএনপি-জামায়াত জোট পরিকল্পিতভাবে দেশে নানামুখী তান্ডব পরিচালনাও করেছিল। আর সেই সাথে দেশের জনগণসহ বিদেশীদের কাছে রীতিমত নালিশ বা অভিযোগ দিয়েও শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা কমাতে পারেনি।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা আর বিচক্ষনতা এবং সর্বপরি দেশের উন্নয়ন ও নিরাপদ বাংলাদেশ অব্যাহত রেখে দেশের জনগণের মাঝে আস্থা ও জনপ্রিয়তা সৃষ্টি করার মাধ্যমে মধ্যবর্তী নির্বাচনের সম্ভবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন।

দ্বিতীয়ত, এক বছরের মাথায় জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য করার সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। বিএনপি-জামায়াত ইসলামের জোটগত তান্ডব, পেট্রোল বোমায় মানুষকে পুড়িয়ে মারা, দেশের জনগণকে রীতিমত জিম্মি করার অপকৌশলকে খুব দৃঢ়তা ও দক্ষতার সাথে শেখ হাসিনা সামলাতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীকে পাল্টা আঘাত করা থেকে বিরত রেখেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আর দেশের জনগণকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের পেট্রোল বোমা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলেছে। দেশের এ-প্রান্ত থেকে ওই-প্রান্তে যেখানে মানুষ আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়েছে সেখানেই শেখ হাসিনার প্রতিনিধি ছুটে গিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। অতন্দ্র প্রহরীর মতন তারা দেশের সাধারণ জনগণের পাশে সহযোগি হিসেবে কাজ করেছে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের পেট্রোল বোমার সেই নগ্ন থাবা থেকে শুধু দেশের জনগণকেই রক্ষা করেনি; রক্ষা করেছে জাতির ভবিষ্যত এবং তাঁর সরকারের চার বছরের এই মেয়াদও..!

অন্যদিকে রাজধানী ঢাকা হলি আর্টিজেন থেকে শুরু করে কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ আর মসজিদ থেকে শুরু করে মন্দিরে হঠাৎ করেই জঙ্গিবাদের উত্থান এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখাও শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের এক অন্যন্য সাফল্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্র প্রধান যখন এই জঙ্গিবাদ নিরসন বা নিয়ন্ত্রনের জন্য আলোচনা-পর্যালোচনা কিংবা উপায়-অন্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে; সেখানে বাংলাদেশের পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে-এটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।

পাঠক! আমার মত আপনিও জানেন, জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি আজ বিশ্বের সমস্যা। বিদেশী ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার লক্ষে দেশীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা এবং দেশের জনগণসহ রাষ্ট্রকে জিম্মি করার এটি একটি অপকৌশল। শেখ হাসিনার সরকার এখানেও অত্যন্ত দক্ষতার সাথে বিদেশী হস্তক্ষেপকে বাধা প্রদান করাসহ দেশের মানুষের মাঝে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণকে সচেতন করা, তথ্য আদান-প্রদান করা এবং ভাড়াটিয়া তথ্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অব্যাহত তৎপরতা, মানুষে-মানুষে ঐক্য গড়াসহ ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা গ্রহনে সফলতা অর্জন করেছে শেখ হাসিনা।

তৃতীয়’র পরে চতুর্থতম আমার কাছে যেটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য সফলতা-পদ্মা সেতুর দৃশ্যমান। দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের কারণে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য দাতাগোষ্ঠী যখন মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখন বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনার অদম্য সাহসে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণের ঘোষণায় পুরো জাতিকে অবাক করে দিয়ে অবশেষে পদ্মার বুকে পদ্মা সেতু আজ বাস্তবায়নের পথে! শুধু তাই নয়; পদ্মা সেতুতে কোনও দুর্নীতি হয়নি-এটি বাংলার জনগণের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর কাছেও প্রমাণীত করেছে।

টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পাশে দল-মত নির্বিশেষে দেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছে। এমনকি ছোট্ট শিশুটি পর্যন্ত তাঁর স্কুলের টিফিনের টাকা শেখ হাসিনার আহ্বানে পদ্মা সেতুর তহবিলে পাঠিয়েছে। মানুষ শেখ হাসিনার প্রতি বিশ্বাস রেখেছে আর শেখ হাসিনাও দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের মানুষের মান-মর্যাদা সফলতার সাথে উজ্জল করেছে।

পঞ্চমবারে যেটি, মিয়ানমার সরকার কর্তৃক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জাতিগত নিধনযজ্ঞ নিয়ে শেখ হাসিনার দক্ষতা আজ বিশ্বের কাছে উজ্জল দৃষ্টান্ত। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র প্রধান ডোনাল্ড ট্রাম্পের চোখে চোখ রেখে কথা বলা, রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সাহায্য প্রার্থনা না করার বিষয়টি শেখ হাসিনার দীপ্ত সাহস আর অর্জিত বিশ্বাসের প্রতিফল যা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণীত করে তুলেছে।

ছোট্ট দেশে বৃহত জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রায় দশ লক্ষ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক মহলসহ দেশের সুশীল সমাজ ও জনগণের আশংকা নিরসন করে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল পরিবেশ করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রাষ্ট্রীয় ঠিকানা, নিরাপত্তা, জীবন ব্যবস্থাসহ তাদের মৌলিক অধিকারের জন্য বিশ্ববাসির সামনে তাঁর চিন্তা-চেতনা এবং আন্দোলন সংগ্রাম তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে নিতে ইতোমধ্যেই দ্বিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে কাজ শুরু করেছে।

পাঠক! যে মিয়ানমার সরকার একটা সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর তাদের সেনাবাহিনীর পরিচালিত অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ লুটপাটের বর্বরতার কথা অস্বীকার করেছে, আজ সেই মিয়ানমার সরকারের সেনাবাহিনী তা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের কুটনৈতিক পরিকল্পনা এবং কর্মযজ্ঞতার কারণে। দেশের ভিতর-বাইরের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে দশম জাতীয় সংসদের সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।

আমাদের মনে রাখতে হবে- রাজাকার, আলবদর, আলসামস, যুদ্ধাপরাধী বলে কিচ্ছু নেই বা ৭১ সালে কোনো যুদ্ধাপরাধ সংঘঠিত হয়নি বলে যারা প্রকাশ্যেই জাতির সামনে মিথ্যাচার করে বিভ্রান্ত করেছিল, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের হাতে ত্রিশ লাখ শহীদ, দুই লাখের বেশী সম্ভ্রমহানী নারী মুক্তিযোদ্ধার অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা তুলে দিয়েছিল; আজ শেখ হাসিনার সরকার সেই ষড়যন্ত্রের বিভ্রান্তের ঝাল ছিড়ে জাতির সামনে সত্য তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। জাতির আশা-আকাঙ্খা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার কাজ করে নতুন প্রজন্মের উদিয়মান ভবিষ্যতকে কলঙ্কমুক্ত করেছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে সেই বিচারকাজ আজও চলমান রেখেছে।

পাঠক! ঢাকা ও ঢাকার বাইরে ফ্লাইওভার, চার লেইন মহাসড়ক এবং মাথাপিছু আয়, জিডিবি প্রবৃদ্ধি, রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। তার উপর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সাবমেরিন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, বছরের শুরুতে সাড়ে ৩৫ কোটি নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে-হাতে পৌছে দেওয়া সরকারের অন্যান্য সফলতাও বলে আমি মনেকরি। আর সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে যা আমার-আপনার প্রাণের দাবি।

এখানে বলতেই হয়, শেখ হাসিনার মতো ভিশনারি, অক্লান্ত পরিশ্রমি ও সৎ নেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন। তৃতীয় বিশ্বের বা উন্নয়নশীল দেশ একজন নেতা কীভাবে দ্রুত দেশ ও দেশের জনগণকে এগিয়ে নিতে পারেন তা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। তাই বিশ্বরাজনীতির বিস্ময় আজ শেখ হাসিনা।

২০১৪ সালের সাংবিধানিক নির্বাচনের পর তাঁর সরকারের বৈশ্বিক স্বীকৃতি ছিল শেখ হাসিনার দক্ষ দূরদর্শী আর কূটনীতির অংশ। তিঁনি শুধু রাজনীতি বা পররাষ্ট্রনীতিতেই নয়, কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক ও একটি বাড়ি একটি খামারের মতো বেশ কিছু উদ্ভাবনী প্রকল্প এবং দেশের অগ্রসরমান অর্থনীতি বার্তা বহন করে শেখ হাসিনার অর্থনীতিও দেশের জন্য বিরাট সফলতা। সততা ও কর্মদক্ষতায় বিশ্বের বড় বড় দেশের রাষ্ট্রনায়কদের পেছনে ফেলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা চলে এসেছেন সামনের কাতারে। বিভিন্ন গবেষণায় সৎ, দক্ষ, ও পরিশ্রমি রাষ্ট্রনায়কদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু মানবিকতার কথা ভেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছেন মানবতার মাতা বা ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’।

নেতার দক্ষতা আর অভিজ্ঞতার উপর যেমন নির্ভর করে তাঁর নেতৃত্ব ও রাষ্ট্র পরিচালনার সফলতা। ঠিক তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও সকল প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে বর্তমান সরকারের চার বছর পূর্ণ করার সফলতা শুধু নিজ দলের নেতাকর্মীর মাঝেই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তির কাছেও দৃষ্টান্ত। আর তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জরিপে বর্তমানে আওয়ামী লীগের চেয়েও অনেক বেশি জনপ্রিয় শেখ হাসিনা। এখানে দল-মত নির্বিশেষে জনগণ ব্যক্তি শেখ হাসিনাকে পছন্দ করে এবং এ ধারাবাহিকতায় উন্নয়নের বাকি কাজ শেষ করে এক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে বলে আশাবাদী দেশের জনগণ।

লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) ।