আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতির নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, সিরিয়ায় সেনা মোতায়েনের মার্কিন পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং দেশটির সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।

ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন মদদে গড়ে ওঠা উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের পতনের পর এবার আমেরিকা ঘোষণা করেছে, সিরিয়ার কুর্দি গোষ্ঠীগুলোকে সঙ্গে নিয়ে একটি নতুন বাহিনী মোতায়েন করবে ওয়াশিংটন।

প্রেসিডেন্ট রুহানি তেহরান সফররত সিরিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার হাম্মুদা ইউসেফ সাব্বাগের সঙ্গে সাক্ষাতে ওই মার্কিন পরিকল্পনার তীব্র জানান। তিনি বলেন, সিরিয়ার জনগণের সামনে এখন সন্ত্রাসবাদ দমন ও বিদেশি হস্তক্ষেপ মোকাবিলা করা অপরিহার্য কর্তব্যে পরিণত হয়েছে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, দায়েশ নির্মূলের পর এখন সিরিয়ার পরিস্থিতি এতটা উন্নত করতে হবে যাতে শরণার্থীরা অবিলম্বে তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে এবং সিরিয়ার পুনর্গঠন কাজ শুরু করা যায়।

ইরানের সরকার ও জনগণ সিরিয়ার জনগণ ও সরকারের পাশে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন রুহানি। তেহরান-দামেস্ক শক্তিশালী সম্পর্ক অতীতের চেয়ে আরো বেশি জোরদার হবে বলে প্রেসিডেন্ট রুহানি আশা প্রকাশ করেন।

ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতে সিরিয়ার পার্লামেন্ট স্পিকার তার দেশের সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে সহযোগিতা করার জন্য ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। এসইসঙ্গে সিরিয়ার আসন্ন পুনর্গঠন কাজেও তেহরানের অংশগ্রহণ কামনা করেন হাম্মুদা ইউসেফ সাব্বাগ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০১৮)