স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীতে আবার অনশন শুরু করেছে বেসরকারি শিক্ষকদের একটি জোট। এরা এমপিও সুবিধা পান। তবে এখন তাদের দাবি, প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করে সরকারি করতে হবে তাদের চাকরি।

সরকারের শেষ বছরে নানা দাবিতে সোচ্চার হওয়ার প্রবণতা আছে শিক্ষকদের। এবারও গত ডিসেম্বরে প্রথমে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে তাদের বেতনের গ্রেড বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।

এই আন্দোলন শেষ হতে না হতেই শুরু হয় এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রথমে অবস্থান এবং এরপর তারা শুরু করেন অনশন। টানা ছয় দিন কর্মসূচি চলার পর প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস অনশন ভেঙে বাড়ি ফিরে যান তারা।

এই কর্মসূচি শেষ হতেই আবার ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকরা অনশন শুরু করেন একই এলাকায়। সেই কর্মসূচিও শেষ হয়েছে আশ্বাসে।

দুদিন যেতে না যেতেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতেই অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম। বুধবার তৃতীয় দিনের এই অনশন অব্যাহত রয়েছে।

ফোরামের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি সকল বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হোক।’

১০ জানুয়ারি থেকে এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে ১৫ জানুয়ারি থেকে ‘আমরণ’ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন।

শিক্ষক কর্মচারীদের ছয়টি সংগঠনের জোট 'বেসরকারি শিক্ষা জাতীয়করণ লিয়াঁজো ফোরাম' এর আহ্বানে অনশনে যোগ দিয়েছেন শিক্ষকরা। প্রচণ্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করে এখন পর্যন্ত ৫৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

অনশনে অংশ নেওয়া শিক্ষক নেতারা বলেন, শিক্ষা জাতীয়করণ শুধু শিক্ষকদের জন্য নয়। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে উন্নত জাতি গঠনেও এটা সময়ের দাবি।

অনশনে শিক্ষক নেতা আব্দুল খালেক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা চালূ করা এবং শিক্ষায় বৈষম্য দূর করা। পিতার স্বপ্ন পূরণ করতে রাত দিন পরিশ্রম করছে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তিনি আমাদের দাবি পূরণ করে শিক্ষক সমাজের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত রাখবেন।’

কর্মসূচিতে বিভিন্ন পর্যায়ে আরও বক্তব্য দেন, জোটের উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইদুল হাসান সেলিম, জি এম শাওন, মতিউর রহমান দুলাল প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০১৮)