স্টাফ রিপোর্টার : ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার শিকার সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সেই পূর্ণিমা রানী শীলকে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বুধবার নিজের ফেসবুক পাতায় এক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এ তথ্য জানান সম্প্রতি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে তথ্যে বদলি হওয়া তারানা হালিম।

তারানা আশা করছেন, অন্ধকার জগত দেখে আসা পূর্ণিমা এখন আলোর জগতে নতুন পথচলা শুরু করবেন।

অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোটের জয়ের পর দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘু এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর ব্যাপক হামলা হয়। এর মধ্যে পূর্ণিমা রানীর ওপর অত্যাচার নিয়ে সে সময় গণমাধ্যমগুলোতে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তখন পূর্ণিমা ছিলেন ১৪ বছরের কিশোরী। তার বয়স এখন প্রায় ৩২ বছর।

তারানা ফেসবুকে লেখেন, ‘মনে পড়ে সেই পূর্ণিমাকে? ২০০১ এর ১ অক্টোবর নির্বাচন-পরবর্তী বিএনপি-জামায়াতের পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিল ১৪ বছরের মেয়েটি।’

‘হ্যাঁ, আমি সিরাজগঞ্জের সেই পূর্ণিমা শীলের কথা বলছি। আজ আমি গর্বিত আমি পূর্ণিমাকে আমার পার্সোনাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ দিলাম।’

তারানা লেখেন, ‘পূর্ণিমা, তোমাকে আমরা ভুলে যাইনি। জীবনের অন্ধকার রূপ তুমি দেখেছো, আলোর জগতে তোমায় স্বাগতম... শুরু হোক নতুন পথচলা। তোমাকে অভিবাদন প্রিয় পূর্ণিমা।’

২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর পূর্ণিমা ও তার পরিবারকে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় পূর্ণিমার বাবা অনিল চন্দ্র শীল ১৭ জনকে আসামি করে উল্লাপাড়া থানায় মামলা করেন। বাবার মৃত্যুর পর মামলার বাদী হন পূর্ণিমা নিজেই।

এ ঘটনায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয় আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আব্দুল জলিল, আলতাফ হোসেন, আব্দুল মমিন, আলতাফ , জহুরুল ইসলাম, হোসেন আলী, লিটন মিয়া, ইয়াসিন আলী, আব্দুর রউফ, আব্দুল মিয়া, বাবলু মিয়া।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০১৮)