স্টাফ রিপোর্টার : পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে আলোচিত মুন সিনেমা হলের মালিককে ৯৯ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তিন কিস্তিতে এই অর্থ পরিশোধ করতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। প্রথম দুই মাসের মধ্যে ২৫ কোটি, দ্বিতীয় দুই মাসের মধ্যে ২৫ কোটি এবং ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বাকি অর্থ পরিশোধ করতে বলেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

মুন সিনেমা হলের মালিক ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলমের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী তৌফিক নেওয়াজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মুন সিনেমা হলের মামলায় আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেন। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মুন সিনেমা হল বাংলাদেশ ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডকে ফেরত দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন। কিন্তু মাকসুদুল আলম তার জমি না পেয়ে ২০১২ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। এ আবেদনের শুনানি শেষে আদালত গত বছরের ১৫ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেলকে একজন অভিজ্ঞ, নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে মুন সিনেমা হলের জমি, স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে তা আদালতে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করতে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনার পর গঠিত কমিটি মুন সিনেমার হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন আকারে জমা দেয়। এর প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দিলেন আপিল বিভাগ।

১৯৭২ সালে মুন সিনেমা হলটি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২০০১ সালে প্রতীকী মূল্য এক টাকা দরে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট তা হস্তান্তর করে ডেভেলপারদের কাছে। ডেভেলপাররা মূল সিনেমা হলটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণ করে এবং ডেভেলপার কোম্পানি তাদের অংশটুকু বর্তমান দোকান মালিকদের কাছে বিক্রি করে দেয়।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০১৮)