নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীতে জাহিদুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। নিহত জাহেদুল ইসলাম সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বিহারী পাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।

বুধবার সন্ধ্যায় জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের বিহারীপাড়া গ্রামের নিজবাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ ঘরের তালা ভেঙ্গে জাহিদুল ইসলামের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শক্রতার জের ধরে তাকে কেউ হত্যা করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, হত্যার শিকার জাহিদুল ইসলাম এলাকার একজন সন্ত্রাসী বলে পরিচিত। সে একটি মামলায় দীর্ঘ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আসে। জাহিদুলের সঙ্গে তার বাবার পরিবারের সর্ম্পক না থাকায় সে পৃথক স্থানে বাড়ি করে বসবাস করে। ইতোমধ্যে তার প্রথম স্ত্রী বিচ্ছেদ ঘটিয়ে চলে যায়।

সম্প্রতি সে পাশ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার সূর্বণখুলী গ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করে। ১৫ দিন আগে তার দ্বিতীয় স্ত্রীও রাগারাগী করে বাবার বাড়ি চলে যায়।

এরপর গত ১২ দিন ধরে জাহিদুলকে এলাকায় আর ঘুরতে দেখা যায়নি। আজ বিকালে জাহিদুলের বাড়ির গেট ও ঘরে তালা লাগা অবস্থায় পঁচা গন্ধ বেরিয়ে আসতে থাকলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।
নীলফামারী সদর থানার ওসি বাবুল আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাড়ির গেট ও ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে ধারালো অন্ত্র দিয়ে গলা ও গোপনাঙ্গ কাটা বিছানায় লেপ দিয়ে ঢাকা অর্ধগলিত একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

তিনি বলেন, এলাকাবাসী লাশটি জাহিদুল ইসলামের বলে জানায়। বিছানার পার্শ্বে পাওয়া যায় একটি বড় ধারলো অস্ত্র। ধারনা করা হচ্ছে পূর্ব শুক্রতার জেরে কেউ তাকে হত্যা করতে পারে। লাশটি উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(এমআইএস/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০১৮)