স্টাফ রির্পোটার : বাজারে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বছর জুড়ে টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হলেও রমজানে থাকে এর বিশেষ পদক্ষেপ। তারপরও খোলা বাজারে এর তেমন কোনো প্রভাব চোখে পড়েনা।

রমজানকে সামনে রেখে ৬ জুন থেকে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হয় টিসিবির। সারা দেশে ১৭৭টি ট্রাকের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। টিবিসিতে চিনি, সয়াবিন তেল, মসুর ডাল, খেজুর ও ছোলা বিক্রি হচ্ছে। ন্যায্য মূল্যে ক্রেতাদের হাতে পণ্য তুলে দেওয়ার লক্ষ্যে টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হলেও এর কোনো প্রভাব পড়ছে না খোলা বাজারে।
টিসিবি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর ২৮টি জায়গায় টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মোহাম্মদপুর টাউল হল মার্কেটে টিসিবির খেজুর যেখানে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, ঠিক তার পাশের দোকানে একই মানের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা দরে।
একই অবস্থা ছোলার ক্ষেত্রেও। রাজধানীর প্রেসক্লাব এলাকায় টিসিবির ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজি দরে। অথচ খোলা বাজারে একই ছোলার দাম কেজি প্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা ।
রোজায় সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে মসুর ডালের। টিসিবির মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি। একই মানের মসুর ডাল খোলা বাজরে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা থেকে ১১০ টাকা দরে। এক্ষেত্রে খোলা বাজারের নিয়ন্ত্রণ চাইলেও ব্যর্থ টিসিবি।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, চাহিদার তুলনায় টিসিবির সরবরাহ নগণ্য হওয়ায়ই এ ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
চলতি বছর রমজানের জন্য খেজুর আমদানি হয়েছে ১৫০ টন। অথচ রমজানে খেজুরের চাহিদা ১০ হাজার টনেরও বেশি বলে জানান টিসিবির এক কর্মকর্তা।
জিগাতলা বাজারে কেনাকাটা করতে আসা হাবিবুর রহমান বলেন, টিসিবির পণ্য কম দাম হলেও এখানে কোনো সিস্টেম নেই। তার ওপর ধাক্কাধাক্কি। শুধু তাই নয়, জিনিসের মান খারাপ হলে তা পরিবর্তনও করা যায় না। এসব কারণে দাম বেশি হলেও খোলা বাজার থেকেই পণ্য কিনি।
খোলা বাজারে বেশি দাম হলেও অব্যবস্থাপনা থেকে রক্ষা পেতে তার মতো অনেক ক্রেতাই টিসিবি এড়িয়ে চলেন।
রাজধানী ছাড়াও চট্টগাম শহরে ১০টি ও অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতে ৫টি করে ট্রাকে টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম চলছে। তাছাড়া জেলা শহরগুলোতে ২টি ট্রাকে করে চলছে টিসিবির পণ্য বিক্রি।
(ওএস/এএস/জুলাই ০৫, ২০১৪)