ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে দিগম্বর ইস্যুকে কেন্দ্র করে সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকিরের সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এমপি বিরোধী সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ইফতারে যোগদানের জন্য প্রেসক্লাবে আসার পথে আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মো. মশিউর রহমান কাউচার ওই সন্ত্রাসীরা ছুরিকাঘাত করে আহত করেছে। এছাড়াও আরও ২জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা যায়, বিকেলে ক্যাপ্টেন (অব.) মজিবুর রহমান ফকির এমপির বিরোধীরা কলতাপাড়ায় মটর সাইকেল বহর নিয়ে পেট্রোল ভরতে গেলে তাদের উপর হামলার প্রতিবাদে মোটর সাইকেল বহর নিয়ে জংবালা স্লোগান দিয়ে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার ম্যুরালের সামনে আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিনিধি মশিউর রহমান কাউচারের ওপর হামলা চালায় ও ছুরিকাঘাত করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ গ্রুপটি পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম, তাঁর ভাই রফিকুল হাসান লিটন, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানের বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা সোমানাথ সাহার সোমনাথ বস্ত্রালয়, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য আবু কাউসার চৌধুরী রন্টির বাসা, এমপির ভাতিজা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ রফিকুল ইসলাম দীপু মিয়ার একটি প্রাইভেটকার গাড়ি ভাংচুর এবং আওয়ামী লীগ নেতা রঞ্জন সরকারের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায়।
নূরুল ইসলাম জানান, ইফতারের সময় ৫০/৬০জনের একদল সন্ত্রাসী তার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪/৫ লক্ষ টাকার ছাড়িয়ে যাবে। আবু কাউসার চৌধুরী রন্টি জানান, বাড়িতে হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ৪২ হাজার টাকা মূল্যের একটি প্রজেক্টর ও ২৮ হাজার টাকা মূল্যের একটি জেনারেটর লুট করে নিয়ে যায়। ক্যাপ্টেন বিদ্রোহীরাই শহরে তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে।
(এসইএম/এএস/জুলাই ০৫, ২০১৪)