মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : দেশে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি কিংবা জালিয়াতির ঘটনা থামছেনা কিছুতেই । এবার মৌলভীবাজারে সদর উপজেলার ৭নং চাঁদনীঘাট ইউ পি’র মাতার কাপন গ্রামে দেওয়ানপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুবকর সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে স্বাক্ষর ও সিল জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন স্কুলটির খোদ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল মন্নাফ ।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ১৯৯০ সালে মাতারকাপন গ্রামে শিক্ষানুরাগী হাজী আব্দুল মন্নাফ নিজের ৩৬ শতাংশ জায়গায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে দেওয়ান পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে এই স্কুলটি স্থাপন করেন। স্কুল স্থাপনের পর থেকে নিবন্ধিত হওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতনসহ যাবতীয় ব্যায় তিনি নিজেই বহন করেন। ১৯৯২ সালে স্কুলটি নিবন্ধিত হয়, নিবন্ধনকালীন সময় থেকে বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোঃ আবু বকর সিদ্দিক শিক্ষকতা করে আসছেন। ২০১৩ সালে বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সভাপতি অভিযোগ করে আরো বলেন, সরকারীকরণ এর পর থেকেই প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুবকর সিদ্দিক বিভিন্ন সময় আমাকে না জানিয়ে স্বাক্ষর ও সিল নকল করে স্কুলের সভা পরিচালনা করেন এবং রেজুলেশন বইতে আমার স্বাক্ষর ও সিল নকল করেন । শুধু তাই নয়, যেখানে আমার ও প্রধান শিক্ষকের যৌথ স্বাক্ষরে ব্যাংকের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার কথা, সেখানে দীর্ঘ দিন থেকে বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্ট থেকে আমার অগোচরে, আমার স্বাক্ষর জাল করে, অবৈধ ও বেআইনি বাবে সম্পূর্ণ লেনদেন পরিচালনা করে আসছেন।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে ইতিপূর্বে গত ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ উপ-জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। দেওয়ান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি হাজী আব্দুল হান্নান সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুবকর সিদ্দিকের এই অপকর্মের সাথে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক একজন সদস্য জরিত রয়েছন বলে ধারণা করছি। তবে সেই ব্যক্তির নাম বলতে করকে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বায়েজীদ খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি, অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপর দিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে জানা যায়, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার আরতি ব্যানার্জী তদন্তকার্য পরিচালনার কাজ শুরু করেছেন।

(একে/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০১৮)