নারয়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : হকার ইস্যু নিয়ে মেয়র আইভী ও শামীম ওসমান সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষে এক সময়ের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী নিয়াজুল ইসলাম খান প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার চেষ্টা করলেও পুলিশ এখনও নিয়াজুলকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে নিয়াজুলকে পিটিয়ে তার অস্ত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উল্টো বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন নিয়াজুল।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ঘটনার পরদিন বুধবার নিয়াজুল বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার ভাইকে দিয়ে অভিযোগটি জমা দেয়ান। নিয়াজুলের দায়েরকৃত অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। পুরো ঘটনাটি সিনিয়ার অফিসাররা মনিটরিং করছেন।

এদিকে সংঘর্ষের দিন মেয়র আইভীর বডিগার্ড পুলিশ সদস্য সফিকুল ইসলাম মেয়রকে রক্ষার্থে তিন রাউন্ড গুলি করায় তিনিও সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন। আর পুলিশ ৯৯ রাউন্ড গুলি করায় সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে আরেকটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।

ওই দিনের ঘটনায় যারা বৈধ অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও গুলি করেছিল তাদেরকে খুঁজে বের করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আর প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার চেষ্টাকারী নিয়াজুল ও তার খোয়া যাওয়া অস্ত্রটি উদ্ধারের চেষ্টায় পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

অপরদিকে নিয়াজুল ইসলাম খান প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করার চেষ্টা করলেও এমপি শামীম ওসমান বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মেয়র আইভীর লোকজনসহ বিএনপির ক্যাডাররা নিয়াজুলকে তিন দফা মারপিট করার পর নিজের জীবন রক্ষার্থে বাধ্য হয়ে তার লাইসেন্সকৃত অস্ত্রটি বের করেছে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে অস্ত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। কারা নিয়াজুলের অস্ত্রটি ছিনিয়ে নিয়ে গেলো পুলিশ এখনও তা উদ্ধার করতে পারেনি।’

এছাড়াও তিনি বলেছেন, ‘আইভী নিয়াজুলকে আমার লোক হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন, কিন্তু আইভী পিছনে থেকে বিএনপির ক্যাডার সুমনসহ অন্যরা গুলি করলো তাদেরকে পুলিশ কেন খুঁজে পাচ্ছে না।’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০১৮)