স্টাফ রিপোর্টার : নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় না আনার পেছনে পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছেন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই দাবি করেন তিনি। সংগঠনের নেতাদের নিয়ে ‘পলিথিন শপিং ব্যাগ আইনের কঠোর বাস্তবায়ন’ দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে পবা।

এ সময় নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ বন্ধে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও জানান পবার সাধারণ সম্পাদক।

পরিবেশ অধিদপ্তরের পাশাপাশি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদিচ্ছা, আন্তরিকতা, সততা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ এবং জবাবদিহিতার অভাবে বর্তমানে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার আগের চেয়ে বেড়ে গেছে বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।

পলিথিন শপিং ব্যাগ ও টিস্যু ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে আইন কঠোভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরকে সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান সংগঠনের নেতারা।

মানববন্ধনে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণসহ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরে সংগঠনটি:

১. পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ, কাগজের ব্যাগ ও ঠোংগা ইত্যাদি সহজলভ্য করা ও এগুলো ব্যবহারে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করা।

২. পলিথিন শপিং ব্যাগ ও টিস্যু ব্যাগের উৎপাদন ও ব্যবহার বন্ধে এবং টিস্যু ব্যাগ তৈরির কাঁচামাল আমদানি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৩. পলিথিন আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা।

৪. নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহারকারীদের আইনের আওতায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা।

৫. বন্ড লাইসেন্সের মাধ্যমে আমদানিকৃত পলি প্রোপাইলিন পলিথিন শপিং ব্যাগ তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

৬. পরিবেশ অধিদপ্তর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও এফবিসিসিআইয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।

মানববন্ধনে পবার সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম, প্রকল্প কর্মকর্তা তানভীর মাসুদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২০, ২০১৮)