স্পোর্টস ডেস্ক: তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের হাফসেঞ্চুরি সত্ত্বেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে নয় উইকেট হারিয়ে ২১৬ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ বোনাস পয়েন্টসহ জিতে ইতোমধ্যে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে মাশরাফি বাহিনী।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ওপেনার এনামুল হক ব্যক্তিগত ১ ও দলীয় ছয় রানে বিদায় নেন। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১০৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলনেতার সিদ্ধান্ত সঠিকই প্রমাণ করেছিলেন এখন পর্যন্ত পুরো সিরিজে দুর্দান্ত খেলা তামিম ও সাকিব।

প্রথম দুই ম্যাচেই ৮৪ রানের ইনিংসের পর এদিনও অসাধারণ ব্যাটিং করেন ওপেনার তামিম। ১০৫ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ৭৬ করে গ্রায়েম ক্রেমারের বলে আউট হন এ বাঁহাতি। হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাকিবও। ৮০ বলে ছয়টি চারে ৫১ রান করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

কিন্তু এ দু’জনের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লাইনআপ। ১৮ রান করেন মুশফিকুর রহিম। আর শেষ দিকে সানজামুল ইসলামের ১৯ ও মোস্তাফিজুর রহমানের ১৮ রানের কল্যাণে দু’শ রানের কোঠা পার করে স্বাগতিক শিবির। বাকিদের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে দলনেতা স্পিনার ক্রেমার সর্বোচ্চ চারটি উইকেট দখল করেন। তিনটি উইকেট তুলে নেন পেসার কাইল জার্ভিস।

জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচেই বোনাস পয়েন্টসহ জয়ে দুই ম্যাচ হাতে রেখে ফাইনালের টিকিট হাতে পায় মাশরাফির দল। তিন ম্যাচে এক জয়ে জিম্বাবুয়ে ও শ্রীলঙ্কার পয়েন্ট সমান ৪। শিরোপা নির্ধারণীতে বাংলাদেশের সঙ্গী হওয়ার লড়াইটা দু’দলের মধ্যে। ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। ফাইনাল ২৭ জানুয়ারি।