স্পোর্টস ডেস্ক : ত্রিদেশীয় সিরিজের শীর্ষ দল বাংলাদেশকে ২১৬ রানে থামিয়ে দিতে পেরে হয়তো জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ক্রেমার বাহিনী। এমন স্বল্প টার্গেট পেয়ে জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যানদের জয়ের স্বপ্নে বিভোর হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যাট করতে নামার প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে সেই স্বপ্ন অন্ধকারের পথে হাঁটা শুরু করলো জিম্বাবুয়। মাশরাফি-সাকিবের জোড়া আঘাতে ৩৪ রানেই ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

শেষ পর্যন্ত ১২৫ রানেই গুটিয়ে গেল রোডেশিয়ানদের ইনিংস। ফলে টাইগার বাহিনী পেল ৯১ রানের জয়। এ সিরিজে এটি বাংলাদেশের টানা তৃত্বীয় হয়।

আর এই হারে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠার পথটি কঠিন করে তুললো কোচ হিথ স্ট্রিকের শিষ্যরা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টাইগারদের মুখোমুখি হতে তাদের এখন তাকিয়ে থাকতে হবে ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচটির দিকে। যেখানে শ্রীলঙ্কা জিতলেই টুর্নামেন্ট থেকে তাদের বিদায় নিতে হবে। আর হেরে গেলে পড়তে হবে রান রেটের মারপ্যাচে।

এদিন টাইগারদের হয়ে দু্ই উদ্বোধনী বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসানের বিধ্বংসী বলে দলীয় ৩৪ রানেই জিম্বাবুয়ের টপ অর্ডার চুরমার হয়ে যায়। কম যাননি মোস্তাফিজও। প্রথম স্পেলে কোনো উইকেটের দেখা না পেলেও তিনটি মেডেন ওভার নিয়ে কোণঠাসা করে রাখেন জিম্বাবুয়েকে।

তবে খালি হাতে ফেরেননি এই টাইগার কাটার স্পেশালিস্ট। উইকেটে থিতু হওয়া সিকান্দার রাজাকে বোল্ড আউট করে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে ফিরিয়েছেন। আর টেলএন্ডার কাইলে জার্ভিসকেও উইকেট ছাড়া করেছেন ১০ রানে।

সাকিব আল হাসান ব্যক্তিগত ৭ রানে সুলেমান মির, ৮ রানে তেন্দাই চাতারা ও শূন্য রানে ফিরিয়েছেন ব্রেন্ডনস টেইলরকে। মাশরাফি বিন মর্তুজার শিকার হয়ে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৫ ও ক্রেইগ আরভিন নিজের ইনিংসে সমাপ্তি টেনেছেন ব্যক্তিগত ১১ রানে।

সানজামুলের দুই শিকারি পিটার মুর ও ম্যালকম ওয়ালার। মুরের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ১৪ হলেও ওয়ালার রানের খাতাই খুলতে পারেননি। আর রুবেল হোসেন ব্যক্তিগত ২৩ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারকে।

(ওএস/অ/জানুয়ারি ২৩, ২০১৮)