সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : গর্ভস্ত শিশুকে হত্যার অভিযোগে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার অফিস ঘেরাও করা হয়েছে। শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে ঘণ্টাব্যাপি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাকে গ্রামবাসি ঘেরাও করে। তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার শর্তে ঘেরাও প্রত্যাহার করা হয়।

কালীগঞ্জ উপজেলার ভাড়াসিমলা গ্রামের বাবু শাহজি জানান, তার ভাগ্নি দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মীনা খাতুনের সঙ্গে কুলিয়া গ্রামের আব্দুর রউফের দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তারা তাদের মামার বাড়িতে অবস্থান করতো।
তিনি আরো জানান, অন্তঃস্বত্বা ভাগ্নি মীনা খাতুনের চেকআপের জন্য তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের সঙ্গে গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। ১২ দিন পর মীরার সম্ভাব্য সন্তান প্রসবের দিন উল্লেখ করে ডা. অনন্যা সরকার তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ি মীরাকে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন ডা. অনন্যা সরকার একটি ইনজেকশান পুশ করার পর মীরার গর্ভস্ত সন্তান মারা যায়। অপারেশন করে মৃত সন্তান বের করানোর কথা বললে ডা. অনন্যা সরকার ও ডা. মাহবুব অন্যত্র নিয়ে যেতে বলেন। সে অনুযায়ি তারা দেবহাটার সখীপুরে ডা. শজাহান আলীর আহছানিয়া ক্লিনিকে নিয়ে রাতেই অপারেশন করিয়ে মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করানো হয়।
বাবু শাহজী, ভাড়াসিমলা ইউপি’র ৬নং ওয়ার্ড সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ডালিমসহ কয়েকজন জানান, ডা. অনন্যা সরকারের ভুল চিকিৎসার কারণে মীনার গর্ভস্ত সন্তান নষ্ট হয়েছে। তারা অনন্যা সরকারকে শিশু হত্যাকারি হিসেবে দায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিকে উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শকের অফিস ঘেরাও করেন। অনন্যা সরকারের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডা. অনন্যা সরকার জানান, তিনি ব্যস্ত রয়েছেন। কথা বলা সম্ভব নয়।
কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ নিয়ে আজই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এএস/জুলাই ০৫, ২০১৪)