অমল তালুকদার, পাথরঘাটা (বরগুনা) : সড়ক আর নৌ-পথ। এ দুটোকেই ব্যবহার করছে মাদক ব্যবসায়ীরা।

গোপন সূত্র মতে প্রকাশ খুলনা-পাথরঘাটা, চট্টগ্রাম-পাথরঘাটা সহ বেশক’টি সড়কপথে এবং সুন্দরবন সংলগ্ন সঙ্গোবসাগর থেকে নৌ-পথে মাদকের চালান চলে আসছে পাথরঘাটায়। এখান থেকে আবার তা সহজেই পৌছে যাচ্ছে আশে-পাশের এলাকাগুলোতে। ভাড়ায় চালিত মোটরবাইক ছাড়াও ছোট-বড় সড়কযানে দ্রুত ছড়িয়ে পরছে গাজা-ইয়াবা সহ নানা পরিচয়ের জীবন ধ্বংসি মাদক। উঠতি তরুণ আর দেশের সম্পদ যুবসমাজ নেশায় যেনো বুধ হয়ে থাকছে।

প্রেমে ব্যর্থতা, চাকরিতে প্রতারণার শিকার, অর্থের দৈন্যতা,অভিশপ্ত বেকারত্বের শিকার হওয়া যুবকেরাই বেশীরভাগ ঝুকছে নেশার জগতে।

পাথরঘাটার তালতলা বাসস্ট্যান্ড, ফেরীঘাট, খাদ্যগুদাম, হাসপাতাল রোড, খাড়াকান্দা, বিএফডিসি এলাকা সহ নানা চিহ্নিত পয়েন্টে প্রতিদিন গাজার আসর বসতে দেখা যায়। এলাকাবাসী মাদকাসক্তদের বিষয়ে বেশীকরে লেখালেখির দাবী জানিয়েছেন সাংবাদিকদের মাধ্যমে। যাতেকরে তাদের চরিত্র উন্মচিত হয় এবং জড়িতরা আইনের আওতায় আসে। এতো অভিযান আর ধরপাকরের পরেও

কোনো অবস্থাতেই ঠেকানো যাচ্ছেনা পাথরঘাটার মাদকের বিস্তার। প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে গাঁজা, ইয়াবা সহ সকল প্রকার নেশাজাত দ্রব্য। উঠতি তরুণ আর যুব সমাজ ইতিমধ্যেই ধ্বংসর দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে। চলছে ঘরে ঘরে পিতা পুত্র অথবা স্বামী-স্ত্রীদের মধ্যে গৃহদাহ। ঝগড়া-বিবাধ চলছে। শুধুমাত্র এক-এ অপরের প্রতি দোষ চাপাচ্ছেন। বাবা বলছেন মাকে তোমার জন্য আমার সন্তান নষ্ট হয়েছে । মা বলছেন বাবাকে তুমি-ই আমার স্তানকে বিপথে যেতে সাহায্য অথবা বাধ্য করেছো!

বিকাশ, এমক্যাশ আর ফ্লেক্সি সহ নানা মাধ্যমে লেন দেন হচ্ছে এখন নেশার টাকা! পাথরঘাটায় ইতিমধ্যেই অনেকগুলো গাজার চালান থানাপুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে। চলছে প্রতিদিন পুলিশি অভিযান।তবুও থামছেনা এই অপরাধ যজ্ঞ।

পাথরঘাটা থানার বিদায়ী ওসি এসএম জিয়াউল হক উপরের তদবির উপেক্ষা করে নেতা-পাতিনেতা সহ সকল ধরনের নেশাখোড়কে ধরে জেল হাজতে নিক্ষেপ করেছেন। তার-ই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পাথরঘাটার নতুন ওসি মোল্লা মো.খবির আহমেদ সম্প্রতি ৩ গাজারু ও ব্যাবসায়ীকে গাঁজাসহ আটক করে যথারীতি জেলহাজতে পাঠান।

ওই ঘটঁনায় ১ কেজি গাঁজাসহ শশুড়-পুত্রবধু সহ ৩ জনকে আটক করেছেন তিনি। ঘটনারদিন রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কালীবাড়ি গ্রাামথেকে আটক করা হয় অভিযুক্তদের। আটককৃতরা হলো, আ. জলিল মিয়া, মো. রিমন ও জলিলের পুত্রবধু মোসা. হনুফা বেগম।

পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কালমেঘার কালীবাড়ি গ্রামের আ. জলিল মিয়ার বাড়িতে তল্লাশী করে ১ কেজি গাঁজাসহ ৩জনকে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে পরদিন শনিবার বিকেলেই জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য,হনুফার স্বামী অর্থাৎ আ.জলিলের ছেলে আল আমিন মাদকের মামলায় বর্তমানে জেল হাজতে আটক রয়েছে। এমন অসংখ্য গাজাখোরকে পুলি শ আটক করলেও থামছেনা তাদের নেশার দৌরত্ব।

(এটি/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০১৮)