স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রবিরোধী সংবাদ প্রকাশ ও ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদপত্র বাতিলের ক্ষমতা চায় জেলা প্রশাসন। এছাড়া ১৯৭৩ সালের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা আইনের অসঙ্গতি সংশোধন করে তা আধুনিক করারও প্রস্তাব রয়েছে জেলা প্রশাসনের।

জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে আলোচনার জন্য দেওয়া প্রস্তাবে এ ক্ষমতা চেয়েছেন ঢাকার জেলা প্রশাসক।

সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো জেলা প্রশাসকদের প্রস্তাব ডিসি সম্মেলনের বইতে ছাপা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রবিরোধী কিংবা ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন কোনো বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে পত্রিকাটি বাতিলের ক্ষমতা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া হয়নি।

যদিও ১৯৭৩ সালের প্রকাশনা আইনে শর্ত ভঙ্গের কারণে পত্রিকার প্রকাশনা বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া আছে।

ঢাকার জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রস্তাবে আরও বলা হয়, পত্রিকার প্রকাশকের মৃত্যু হলে পরিবারের কোনো সদস্যের সাংবাদিকতায় অভিজ্ঞতা না থাকলেও প্রকাশক হতে পারবেন কিনা তার কোনো বিধান আইনে উল্লেখ নেই। ঘোষণাকৃত সংবাদপত্র ও ছাপাখানার লাইসেন্স নবায়নেরও বিধান নেই।

প্রস্তাবে বলা হয়, যেকোনো পত্রিকার সরকারি ঘোষণাপত্র ফি ৪টাকা, যা বর্তমান সময় অনুযায়ী খুবই কম এবং পরিবর্তনযোগ্য।এছাড়া আয়করের পরিমাণ কতো হবে তার উল্লেখ নেই আইনে।

রাষ্ট্রবিরোধী ও ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে ডিসি সম্মেলনের বইতে ছাপা হওয়া সুপারিশে বলা হয়, রাষ্ট্রবিরোধী কিংবা ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত হানে এমন কোনো বিষয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে পত্রিকাটি বাতিলের ক্ষমতা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দেওয়া যেতে পারে।

প্রত্রিকার প্রকাশকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে সুপারিশে বলা হয়েছে, যোকোনো পত্রিকায় তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকার বিধান করা যেতে পারে।

নবয়নের ক্ষেত্রে সুপারিশে বলা হয়, প্রতি তিন বছর পর সরকার নির্ধারিত কমপক্ষে পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করে ঘোষণাকৃত সংবাদপত্র ও ছাপাখানার লাইসেন্স নবায়নের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

চার টাকার সরকারি ঘোষণাপত্র ফি বাড়ানোর সুপারিশে বলা হয়েছে, দৈনিক পত্রিকার জন্য ৫০ হাজার টাকা, সাপ্তাহিক পত্রিকার জন্য ২৫ হাজার টাকা এবং অন্যান্য পত্রিকার জন্য ২০ হাজার টাকা সরকারি ঘোষণা পত্রের ফি করা যেতে পারে।

এছাড়া আয়করের পরিমাণ কমপক্ষে তিন লাখ টাকা করা যেতে পারে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।

(ওএস/এটিআর/জুলাই ০৫, ২০১৪)