ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও প্রশাসন ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান করাসহ পাঁচ দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বিসিএল), বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ), বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনসহ মোট ৯টি ছাত্র সংগঠন নিয়ে গঠিত বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলন থেকে এসব দাবি ও কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত তিন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ৩১ জানুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশ, ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী মানববন্ধন এবং ৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা।

পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে :

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিট গঠন। কমিটি গঠন করার পর তদন্ত চূড়ান্ত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পেশ করার আল্টিমেটাম ।

২. সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা ও ঘটনার জন্য দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ বাজায় রাখতে পরিবেশ পরিষদ চালু করতে হবে।

৪. অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

৫. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজ নিয়ে বিরাজমান সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল ইসলাম সুমন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

এর আগে, একই স্থানে আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে সচেতন সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ওই দিনের ঘটনায় অভিযুক্ত সবার বহিষ্কার ও শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানায়। এতে সচেতন শিক্ষার্থীদের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ওই দিন মারামারিতে জড়িয়েছে বাম সংগঠন এবং ছাত্রলীগ। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ যদি জড়িত থাকলে তাদেরও শাস্তি দাবি করছি।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০১৮)