নাটোর প্রতিনিধি : আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী হিসেবে বড়াইগ্রাম উপজেলার দলীয় নেতাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ (একাংশ) নেতা-কর্মীরা।

শনিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীর নেতৃত্বে এই মিছিল-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

‘গুরুদাসপুর নয় বার, ৪৫ বছর পর বড়াইগ্রাম এবার একবার’ এই শ্লোগান নিয়ে ২ সহস্রাধিক নেতা-কর্মীর একটি দীর্ঘ মিছিল নাটোর-পাবনা মহাসড়কের বনপাড়া পৌরসভা এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

পরে কালিকাপুর ফজলিতলা মোড়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ডা. সিদ্দিকুর রহমান ছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর শরীফুন্নেছা শিরিণ, যুবলীগের আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর মুহিত কুমার সরকার, জয়বাংলা সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন খান, কাউন্সিলর বোরহানউদ্দিন ভুইয়া, আ’লীগ নেতা সোবাহান প্রামাণিক, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভৌগলিক দিক দিয়ে গুরুদাসপুরের চেয়ে বড়াইগ্রামের গুরুত্ব বেশী। এছাড়া বড়াইগ্রামে ভোটার সংখ্যা বেশী। গত ১০ টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে ১, বিএনপি ৩ ও আওয়ামীলীগ থেকে ৬ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। এর মধ্যে ১৯৭৩ সালে বড়াইগ্রাম উপজেলার সন্তান রফিকউদ্দিন সরকার ওই আসনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে গুরুদাসপুর থেকে আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা ও বর্তমানে জেলা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দীর্ঘ ৪৫ বছর পর বড়াইগ্রামীবাসী আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বড়াইগ্রামের কৃতি সন্তান, বিশিস্ট চিকিৎসক, বিপুল ভোটে বিজয়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আ’লীগের স্বাস্থ্য-জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।

এদিকে দুই উপজেলার সিনিয়র রাজনৈতিক ব্যক্তিরা মনে করেন, বিশিস্ট চিকিৎসক হওয়ায় ও বনপাড়ায় নিজস্ব বৃহৎ প্রাইভেট হাসপাতাল থাকায় ডা. সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী দুই উপজেলায় বেশ পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা রয়েছে।

এছাড়া গুরুদাসপুর পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনেওয়াজ মোল্লার ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সঙ্গী হওয়ায় এই দুই আসনে ডা. সিদ্দিকুর রহমান বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বর্তমান এমপি আব্দুল কুদ্দুস এবারে মনোনয়ন পান তবে আওয়ামীলীগ এই আসন হারাতে পারে বলেও ধারণা করেন তারা।

(এডিকে/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০১৮)