আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক লোমহর্ষক ঘটনার জন্ম হয়েছে ভারতের গাজিয়াবাদে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত ছেলে এবং বাবা পলাতক। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রতিবেশী এক মেয়ের ওপর হামলে পড়েছে মাংসলোলুপ একটা পুরুষের শরীর।

কামুক দাঁত-নখ এড়াতে মেয়েটি শেষ শক্তি দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। খানিকটা পিছিয়ে যেতে হচ্ছে ইতর যুবকটিকে। এ সময়েই হাজির যুবকের বাবা। মেয়েটি খানিক স্বস্তিতে, এবার বোধহয় ইজ্জত বাঁচল। কিন্তু হল ঠিক উল্টোটাই। বাকরুদ্ধ মেয়েটি দেখল বাবা ছেলেকে তাতাচ্ছে। বাঁচানো তো দূরে থাক, মেয়েটির প্রতিরোধ কী ভাবে ভেঙে পড়ে, কত সহজে ছেলেটি অনুপ্রবেশ করতে পারে তার শরীরে, সেই চেষ্টাই করছে ওই প্রৌঢ়। বাবা-ছেলে যুগলবন্দিতে রক্তাক্ত যুবতীর এর পর যন্ত্রণায় কাতরানো ছাড়া আর গতি কী!

এমনই লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে ভারতের গাজিয়াবাদের সিহানি গেট এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিগৃহীতা একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। মঙ্গলবার সে জল আনতে যান। তখনই নকুল নামে এক প্রতিবেশী তাকে জোর করে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। নকুলের বাবা কারতারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে ওই তরুণী। সে বলে, তখনই নকুলের বাবা বাইরে থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে সকলকে সব কথা জানান ওই নিগৃহীতা। এর পরই সিহানি গেট থানায় নকুল এবং তার বাবা কারতারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

ঘটনার পর থেকেই দুই অভিযুক্ত ফেরার। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ১৩, ২০১৪)