বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : নকল মুক্ত পরীক্ষা নিতে সিসি (ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা) আওতায় আনা হয়েছে পটুয়াখালীর বাউফলের এসএসসির ৫টি ভ্যানুসহ ৮ পরীক্ষা কেন্দ্রে । মাদ্রাসা কেন্দ্রগুলোতেও পর্যায়ক্রমে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে জানিয়েছেন উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার কেএম সোহেল রানা জানান, এসএসসির বাউফল মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বাউফল আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালাইয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বগা আব্দুর রশিদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কালিশুরী এসএ ইনিস্টিটিউট, কেশবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কনকদিয়া স্যার সলিমুল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও কালাইয়া হায়াতুন্চ্ছো বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজ, বগা ডা. ইয়াকুব শরীফ ডিগ্রি কলেজ, কনকদিয়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভ্যানুসহ মোট ৮টি কেন্দ্র ও ৫টি ভ্যানু সিসি ক্যামেরারা আওতায় আনা হয়েছে। মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রসহ মোট ১২টি কেন্দ্রের সবগুলোকেই ধাপে ধাপে আনা হবে সিসি ক্যামেরার আওতায়।

উপজেলার ৬০টি মাধ্যমকি বিদ্যালয় থেকে ৪ হাজার ৫ শ’৪৭ জন, ৬৭টি মাদ্রাসা থেকে ১ হাজার ৮শ’২১ জন এবং ভোকেশনালে ১৬২ জন নিয়ে মোট ৬ হাজার ৫ শ’৩০ জন পরীর্ক্ষাথী এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিবে। বৃহস্পতিবার থেকে শুর হচ্ছে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা।

জানা গেছে, কেন্দ্র ও ভ্যানু সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের অর্থায়নে উপজেলা প্রশাসনের সহোযোহিতায় পরীক্ষা চলাকালনি কেন্দ্রে বহিরাগত অনুপ্রবেশ, নকল সরবরাহ, পাশাপাশি কক্ষ পরিদর্শকের নকলে সহায়তাসহ বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা ঠেকাতে ও শিক্ষার গুনগত মান উন্নয়নে এ উদ্দেগ গ্রহণ করা হয়। পরীক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত সিসি ক্যামেরায় দায়ত্বিপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটের কেন্দ্রের তদারকি ছাড়াও অফিস কক্ষে বসে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরিন পরীক্ষা ও ক্লাস মনিটরিং করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ।

উপজলো নির্বাহি র্কমর্কতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলনে, ‘এর আগে সিসি ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে কক্ষ পরিদর্শক ছাড়াই পৌর সদরের একটি বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়েছে। নকল ও বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা বন্ধ করে শিক্ষার গুনগত পরিবর্তণ আনতেই এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় হলে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। তবে সিসি ক্যামেরায় অভ্যন্তরিন পরীক্ষা, ক্লাস মনিটরিং ছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন অনৈতিক কাজকর্ম দুর করাও সম্ভব হবে।’

(এমএবি/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০১৮)