ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ত্রিশালে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগীত বিভাগে পরীক্ষায় নকলের সুযোগ করে দেয়ার বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পরীক্ষার খাতা ছিঁড়ে পুড়িয়ে ফেলেছেন বিভাগীয় প্রধান ড. মোসারত শবনম। গতকাল বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সংগীত বিভাগের ‘লোক সংগীত’ বিষয়ের মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারে ৭ পরীক্ষার্থীকে ডিন অফিসে ডেকে নিয়ে পরীক্ষার জন্য বসান ফ্যাকাল্টির ডিন ও বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোসারত শবনম।

এসময় অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা টের পেয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের রুমের সামনে বিক্ষোভ করেন। ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য পরীক্ষার খাতা ছিঁড়ে সেগুলো পুড়িয়ে দেন ড. মোসারত শবনম। তবে ক্লাস রুম রেখে ডিনের রুমে কেন পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিলো, তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

তবে বিক্ষোভকারী একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খন্ডকালীন শিক্ষক সাদমান তাহারীফ প্রত্যয় এ ঘটনার সাথে জড়িত। শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য গত এক মাস ধরে তার অধীনে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রাধির অভিযোগ করে শতাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করলেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা নেয়নি।

বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক প্রত্যয় জানান, আমি এ ব্যপারে কিছু জানিনা। আমাকে শুধু রুমে দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

কলা অনুষধের ডিন ড. মুশাররাত শবনম জানান, পরীক্ষার্থীদের খাতা দিয়ে পরীক্ষায় বসিয়ে খন্ডকালীন শিক্ষক সাদমান তাহারীফ প্রত্যয়কে দায়িত্বে রেখে তিনি চলে যান। পরে তিনি জানতে পারেন পরীক্ষায় নকল হচ্ছে। এমন অভিযোগে অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যান এর রুমের সামনে বিক্ষোভ করে। এমন শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে তিনি পরীক্ষা খাতা বাতিল করে পুড়িয়ে ফেলেন।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন এ ব্যাপারে আমি কোন তথ্য পাইনি। যদি এখানে কোন অপরাধ ঘটে থাকে তবে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এন/এসপি/জানুয়ারি ৩১, ২০১৮)