আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিমন্যাস্টিকস দলের সাবেক চিকিৎসক ল্যারি নাসার ২৬৫ জন নারী অ্যাথলেটকে যৌন হয়রানি করেছেন বলে জানিয়েছেন মিশিগানের একটি আদালত। নারী অ্যাথলেটদের ব্যাপকভাবে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে ৫৪ বছর বয়সী ল্যারি নাসার এখন বিচারের কাঠগড়ায়।

যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ১৬০ জন নারী নাসারের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে সাক্ষ্য দিয়েছেন। নাসারকে আদালত ৪০ থেকে ১৭৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দিয়েছে। এছাড়া শিশু যৌনতার ছবি সংরক্ষণ এবং জিমন্যাস্টদের হয়রানি করার অভিযোগে এর মধ্যেই ল্যারি নাসারের ৬০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে মার্কিন আদালতে।

এখন তার যে বিচার চলছে সেখানে মূল অভিযোগ হচ্ছে, মিশিগানের একটি জিমন্যাস্টিকস ক্লাবে তিনি রোগীদের যৌন হয়রানি করেছেন। মিশিগান ইউনিভার্সিটির সাবেক চিকিৎসক ল্যারি নাসার গত নভেম্বর মাসে চলমান কিছু মামলার শুনানির সময় নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।

তার কাছে যারা যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সীরাও রয়েছে। ল্যারি নাসারের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হওয়া ২৬৫ নারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে আদালত জানিয়েছে। নাসারের এই বিচার বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা হচ্ছে। তার হাতে যৌন হয়রানির শিকার নারীরা যাতে এ শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে পারে সেজন্যই এ আয়োজন করা হয়েছে।

১৭ বছর বয়সী জেসিকা টমাসশো আদালতকে বলেছেন, আমার বয়স যখন নয় বছর তখন সে প্রথমবারের মতো আমার উপর যৌন হামলা চালায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, ল্যারি নাসার তার নিজের লালসা চরিতার্থ করার জন্য এ ধরনের কাজ করতো। ল্যারি নাসারকে সবচেয়ে খারাপ ধরনের অপরাধী হিসেবে বর্ণনা করেছেন জেসিকা।

টমাসশোর বড় বোনের উপরও ল্যারি নাসার যৌন হামলা চালিয়েছিল। এখন চলমান অভিযোগের শুনানি শেষ হলে ল্যারি নাসেরের আরো ২৫ থেকে ৪০ পর্যন্ত কারাদণ্ড যোগ হতে পারে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮)