সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে একের পর এক স্টিল ব্রিজ গায়েব হয়ে যাচ্ছে। কেবলমাত্র গোলখালী ইউনিয়নে গত তিন মাসে চারটি ব্রিজ গায়েব হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর স্থাপন করেছিল। গায়েব হয়ে যাওয়া ব্রিজগুলোর বর্তমান মূল্য কমপক্ষে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা। তবে ব্রিজ গায়েব হওয়ার বিষয় জানা নেই স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর ও সংশ্লিস্ট ইউনিয়ন পরিষদের । 

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গায়েব হয়ে যাওয়া ব্রিজগুলোর মধ্যে গোলখালী ইউনিয়নের নলুয়াবাগী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের ওপরের স্টিল ব্রিজটি ৩০ বছর আগে, নলুয়াবাগী গ্রামের বারেক মাস্টারের বাড়ি সংলগ্ন খালের ওপরের ব্রিজটিও ২০-২১ বছর, ধূলাবাড়িয়া বাজার সংলগ্ন ব্রিজটি ১২-১৩ বছর এবং কালিরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের ওপরের ব্রিজটি ১৫-১৬ বছর আগে নির্মাণ করা হয়। সবগুলো ব্রিজই নির্মাণ করেস্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর। এরমধ্যে কোন কোন খালে নতুন ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে। আবার কোন কোন ব্রিজ দীর্ঘদিনেও মেরামত না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছিল।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশল দফতরের নির্দিষ্ট ঠিকাদাররা ব্রিজগুলো দিনে দপুরে তুলে নিয়ে যায় এবং সেগুলো বিভিন্ন ওয়ার্কশপে ওজনে বিক্রি করে দেয়া হয়। ব্রিজ বিক্রির পুরো অর্থ সংশ্লিষ্টরা ভাগাভাগি করে নেন।

গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসিরউদ্দিন আহমেদ জানান, ব্রিজ গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। কেবলমাত্র দু’টি ব্রিজের মালামাল দিয়ে একটি ব্রিজ করার অনুমতি দিয়েছেন।

এদিকে দু’টি ব্রিজের মালামাল দিয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণেও অনিয়মের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। ব্রিজটিতে সিমেন্টের পাকা স্লাবের পরিবর্তে কাঠ বিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আগে ব্রিজটি ছিল তিন পিলারের। বর্তমানে তা দু’টি পিলার। ফলে ব্রিজটি শিগগির ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, ব্রিজ গায়েব হয়ে যাওয়ার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

(এসডি/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮)