রমজানের প্রথম সপ্তাহ এখনো পার হয়নি। ঈদে আসতে বাকি আরো ২৩ দিন। এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে রাজধানীর ঈদ-বাজার। রমজানের প্রথম ছুটির দুটি দিন অর্থাৎ গত শুক্র ও শনিবার রাজধানীর শপিং মলগুলোতে ক্রেতা সমাগমে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে।

গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশের সর্বত্রই ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কেই জমেছে পানি। তবুও ক্রেতারা কাদাপানি ডিঙিংয়েই ভিড় করেছেন প্রিয়জনের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে বিপনি বিতানে। ঢাকাসহ সারা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রোজার শুরুতেই বন্ধ হওয়ায় এবার আগেভাগেই ঈদের বাজার জমে উঠতে শুরু করেছে।

রাজধানীর শপিংমলগুলো এরই মাঝেই ঈদের পণ্যে পসরায় সাজিয়েছে। শো-রুমের প্রতিটি কোণ সাজিয়ে তুলতে ব্যস্ত দোকানিরা। কোনো কোনো দোকানে বাড়তি বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। খণ্ডকালীন কাজ করছেন অনেক শিক্ষার্থী। শপিং মলগুলো আলোকসজ্জা থেকে শুরু করে রঙিন বেলুন, ফুল আর বর্ণিল শিপনের কাপড়ে ঝলমল করছে।

রাজধানীর বিভিন্ন শপিংমল ঘুরে এমনই দৃশ্য চোখে পড়েছে।

মাসের শুরুতে রমজান শুরু হওয়ায় ঈদ-বাজার জমে ওঠার একটা কারণ বলে মনে করেন দোকানিরা। তারা আশাবাদী, এবার তাদের বেচাকেনা ভালো হবে। কেননা, রোজার শুরুতেই চাকরিজীবীদের হাতে বেতন এসেছে।

শুক্রবার মোহাম্মদপুর সুপার মার্কেটে মমতা গার্মেন্টস নামের দোকানের মালিক ফরিদ হোসেন বলেন, “আজই পুরোদমে ঈদের কেনাকাটা শুরু হবে। সকাল থেকে বৃষ্টি থাকায় ক্রেতা কম ছিল। এখন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যে মানুষ আসছে। ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে।”

এ দোকানে কথা হয় দল বেঁধে কেনাকাটা করতে আসা ফারজানা, মিনু, শিমু ও সিহার সঙ্গে। তারা সবাই সলিমুল্লাহ রোডের একটি মেসে থাকেন। তারা বলেন, কদিন পর মার্কেটে ভিড় বেড়ে যাবে, তখন আর দরদাম করে কেনাকাটা করা যাবে না। তাই আগেভাগেই ছেলেমেয়েসহ আত্মীয়স্বজনদের জন্য শপিং সেরে নিচ্ছেন তারা। তবে তারা বলেন, জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি।

এদিকে ক্রেতা আকর্ষণের জন্য এরই মধ্যে বেশ কিছু বিপণিবিতান ঘোষণা করেছে কেনাকাটার ওপর র্যা ফল ড্র, বিভিন্ন প্যাকেজ ও আকর্ষণীয় পুরস্কার। এ ছাড়া দোকানিরা নিজেদের দোকানটি সাজিয়েছেন আকর্ষণীয় করে।

রাজধানীর নিউমার্কেট, গাওছিয়া, চাঁদনি চক, কৃষি মার্কেট, আড়ং, সানরাইজ প্লাজা, রাপা প্লাজা, মেট্রো প্লাজা, অরচার্ড প্লাজা, প্লাজা এ আর, ক্রিসেন্ট মার্কেটসহ বুটিক শপগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। তাদের মধ্যে তরুণ-তরুণী ক্রেতাই বেশি। আড়ং, কে ক্রাফট, অঞ্জন'স, ওজি, বাংলার মেলা প্রভৃতি ফ্যাশন হাউসে সালোয়ার-কামিজের প্রতি তাদের আগ্রহ বেশি দেখা গেছে।