কক্সবাজার প্রতিনিধি : চলমান রোহিঙ্গা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় সীমান্ত বাণিজ্যের আবারও প্রসার ঘটছে। কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রার দিগুন রাজস্ব আদায় হয়েছে। সীমান্ত সমস্যা কিছুটা কাটিয়ে ওঠায় দু’দেশের বাণিজ্যে গতি ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন বন্দর ব্যবসায়ীরা।

শুল্ক স্টেশন সূত্র জানায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের জানুয়ারি মাসে ৪৫৫টি বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ১৪ কোটি ৮৩ লাখ ৯৮ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এই মাসে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ কোটি ২১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা বেশি। এতে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ৮০ কোটি ৪৭ লাখ ১২ হাজার টাকার।

অপরদিকে ৫৪টি বিল অব এক্সপোর্টের মাধ্যমে মিয়ানমারে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার পণ্য রফতানি করা হয়েছে। এছাড়া শাহপরীরদ্বীপ করিডোরে ৭ হাজার ৬৯৭টি গরু, ৫৭৮টি মহিষ আমদানি করে ৪১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ব্যবসায়ীরা জানান, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সমস্যার কারণে সীমান্ত বাণিজ্যে একেবারে ধস দেখা দেয়। এরপর থেকে সীমান্ত বাণিজ্যে নেমে আসে শনির দশা। তবে কয়েক মাস পর এই দশা কেটে গিয়ে সীমান্ত বাণিজ্যে আগের অবস্থা ফিরে আসে। এই অবস্থান বলবৎ থাকলে সীমান্ত বাণিজ্যে সফলতা আরো বাড়বে বলে জানান বন্দর সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে বন্দর ব্যবসায়ীরা স্থলবন্দরে নানা সমস্যার কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। যথাসময়ে পণ্য সরবরাহেও হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বন্দরে অহেতুক চার্জ আদায় বন্ধ, পর্যাপ্ত পরিমাণ জেটির ব্যবস্থা ও শ্রমিক সরবরাহ থাকলে বাণিজ্যিক পণ্যের আরো দ্বিগুন আমদানি-রফতানি ঘটবে। পাশাপাশি পরিবহন খাতে আরেকটু নজরদারি রাখা হলে ব্যবসায় আরো অনেক সফলতা আসবে।

টেকনাফ স্থলবন্দর শুল্ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইদ্রিস জানান, জানুয়ারি মাসে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি আগের চেয়ে বেশি হওয়ায় টার্গেটের চেয়ে দ্বিগুন রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়েছে। বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক এবং ব্যবসায়ীরা একটু আন্তরিক হলে এই বন্দরে রাজস্ব আদায়ে সব সময় লক্ষ্যমাত্রা ডিঙানো সম্ভব হবে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৮)