ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ,সাঘাটা ফুলছড়ি এই ৩ উপজেলার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলে দিন দিন বাড়ছে বাদামের আবাদ। বাদামের জন্য উপযুক্ত মাটি আর উৎপাদন ব্যয় কম কিন্তু লাভ বেশী হওয়ায় কৃষকও আগ্রহী বাদাম চাষে।

ফুলছড়ি সাঘাটর উপজেলার চরাঞ্চলের বেশীর ভাগ জমিতেই হয় বাদামের আবাদ। চরাঞ্চলের এই মাটিতে বাদাম ছাড়া অন্য কোনো ফসল উৎপাদনও হয় তেমন। উৎপাদন ব্যয় কম ও লাভ বেশী হওয়ায় কৃষকও খুশি এতে।

চরের প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমি’র হেক্টরেই আবাদ হয় বাদাম। গত অর্থ বছরে জেলায় বাদামের উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ১০ হাজার মেট্রিকটন। এ বছর উৎপাদন ১৩ হাজার মেট্রিকটন ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা জেলা খামার বাড়ির।

বাংলা মাঘ মাসে বাদামের বীজ রোপণ করে ফসল তোলা যায় জ্যৈষ্ঠ মাসে। ৫ মাসের মধ্যে রোপণের অন্তত দুই মাসের মধ্যে একটি বৃষ্টি দরকার হয় বাদামের ভাল ফলনের জন্য।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রোপণের ১/২ মাসের মধ্যে একটি বৃষ্টি বাদামের বাম্পার ফলন হতে পারে। এখন হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয় গড়ে ১ দশমিক ৬৮ মেট্রিকটন।
এ বছর জেলায় বাদাম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৪শ ৫০ হেক্টর, কিন্তু প্রকৃত আবাদ লক্ষ্যমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে খামার বাড়ি সূত্র।

(এসআইআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৮)