বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে ৪শত বছরের মূল্যবান একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুরে গোঁরতা গ্রামে একটি পুকুর খননের সময় প্রায় ১০ মণ ওজনের ওই কষ্টি পাথরের নারায়ণ মূর্তি উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য নির্ধারনে কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হতে হয়েছে । তবে স্থানীয় দের ধারনা এই বিশাল আকালের কষ্টি মূর্তির দাম কম করে হলেও ১শ কোটি টাকা বলে ধারনা করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে গোটা এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি এক নজর দেখার জন্য সেখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের গোড়তা গ্রামে মন্ডল গ্রুপের লোকজন স্থানীয় ভাবে সকাল থেকে একটি পুকুর খনন করছিল। হঠাৎ দুপুর ২ টার দিকে মাটি খননের সময় ব্যাকোর সাথে বিশাল আকৃতির একটি মূর্তি বের হয়। পরে সেটি মাটির উপরে তুলে দেখা যায়, এটি একটি প্রাচীনকালে তৈরী কষ্টি পাথরের নারায়ণ মূর্তি। যার বাজার মূল্য প্রায় ১শ কোটি টাকা বলে এলাকাবাসী জানায়।

এই ঘটনা সাধারণ মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে সবাই এক নজর দেখার জন্য ভিড় জমায় এবং হিন্দু ধর্মালম্বীরা এসে পুজা অর্চনা শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রশাসনের নিকট খবর দিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিরাজুল ইসলাম ও শেরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

ভবানীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ জানান, এক সময় এলাকাটি হিন্দু জমিদারদের ছিল। যার ফলে এই ধরণের মূর্তি পাওয়া সম্ভব।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, চারশ বছর আগের হিন্দু জমিদারদের পূজা অর্চনা করার জন্য এই মূতিটি তৈরি করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি একটি অমুল্য রতন। তিনি জানান আমরা নিয়ম মাফিক প্রন্তত্তত্ত্ব অধিদপ্তরে হস্তান্তর করব।

(এমআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৮)