রাণীশংকৈল প্রতিনিধি : ঠাকুরগাওয়ের রাণীশংকৈলে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী পিতার লাশ রাস্তায় রেখে নেকমরদ আলীমুদ্দিন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিলেন। পরীক্ষার্থী সুমি আক্তার রাতোর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। 

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার নেকমরদ কলেজ সংলগ্ন এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত আঃ রহিম উপজেলার রাতোর ইউনিয়নের আটকোরা গ্রামের থেবদেরু মোহাম্মদের ছেলে।

বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে পিতা আঃ রহিম এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমি আক্তারকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছে দেওয়ার পথিমধ্যে নেকমরদ কলেজ সংলগ্ন গরগাও জোড়া ব্রিজ মোড়ে বিপরীত দিক থেকে আসা পাওয়ার ট্রিলারের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে পিতা কন্যা দুজনেই আহত হন।

তবে সুমির পিতা আঃ রহিম (৪৭)’র বেগতিক অবস্থা দেখেস্থানীয়রা দ্রুত নেকমরদ বাজারে। ডা. আলতাব হোসেনের চেম্বারে নিয়ে আসেন। সেখানে ডাঃ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে পরীক্ষার্থী সুমিকে স্থানীয়রা পিতার মৃত্যুর কথা বুঝতে না দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কৌশলে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। তার রোল নম্বর ৬৭৩৯৫৫। ইসলাম নৈতিক শিক্ষা পরীক্ষা শেষে সুমিকে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাসায় পৌঁছে দেন।

উল্লেখ্য, ১লা ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেলার সদর উপজেলায় তোফাজ্জল হোসেন ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। বাড়িতে লাশ রেখে মেয়ে তাহমিনা এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

অপরদিকে একই জেলার সালথা উপজেলায় ৫ই ফেব্রুয়ারী এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের মা সন্তান প্রসবকালে হাসপাতালে মারা যান। সকাল ৮টায় মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে সুমাইয়া এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

(কেএএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৮)