স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতি যেই করুক, তিনি যতই প্রভাবশালী হোক, তাকে সাজা পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিণতি দেখে শিক্ষা নিতে বলেছেন তিনি।

২০০৬ সালে খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়ার পৌনে দুই বছর পর ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। এতে যে অভিযোগ আনা হয়, সেই ‘দুর্নীতি’র ঘটনাটি ঘটেছিল ৯০ দশকে বিএনপি সরকারে থাকার সময়।

আর মামলার সাড়ে নয় বছর পর বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে।

পরদিন শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরায় ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি আয়োজিত এক সম্মেলনে প্রধান অতিথি হয়ে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘সন্ত্রাস, জঙ্গি, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই লক্ষ্য নিয়েই দেশ এগোচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার সাজার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না সেটার প্রমাণ একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জেলে যাওয়া।’

‘দেশ জঙ্গি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে সরকার যেমন সফল হয়েছে, তেমিন এ দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করে সোনার বাংলা গড়তে কাজ চলছে।’

ওলামা মাশায়েখদের মসজিদে জঙ্গি, সন্ত্রাসের পাশাপাশি দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলারও অনুরোধ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার রায় সরকার লিখে দিয়েছে- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কথা। এই মামলা বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই চলছে। তার মধ্যে অনেকবার কোর্ট ও বিচারক পাল্টানো হয়েছে বেশ কয়েকবার। সুতরাং এটা নিয়ে কথা না বললেই হয়।’

‘তবে উচ্চ আদালতে আপিলের যেহেতু সুযোগ আছে তিনি (খালেদা জিয়া) সেখানেও যেতে পারেন। বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন এবং ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবেন।’

এই রায়কে ঘিরে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন, ‘কেউ যদি নৈরাজ্য করার পাঁয়তারা করে তাহলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর পাশাপাশি সাধারণ জনগন তা প্রতিহত করবে।’

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, স্থানীয় সংস সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন এবং ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির নেতারা এ সময় বক্তব্য রাখেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৮)